
লেখক আহমেদ উল্লাহঃ আমরা সবাই অবাধ বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বলি। বাস্তবে কি তাও আদৌ সম্ভব? কোন মানুষই লাগামহীন স্বাধীন হতে পারে না, সীমাবদ্ধ পরিসরে স্বাধীন হতে পারে মাত্র। যেমন ধরুন, এই দেশটা স্বাধীন এবং এখানে আইনত সবার ব্যক্তি ও বাক স্বাধীনতা আছে। তার মানে কেউ লাগামহীন বাকস্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে? কেউ যদি দেশের স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্বের বিরোদ্ধে কথা বলতে চায় সে স্বাধীনতা কি দেওয়া হবে তাকে?
সুতরাং সম্পূর্ণ বা অবাধ স্বাধীনতার শব্দগুলো নিছকই মুখরোচক ও বাস্তবতা বিবর্জিত। সব স্বাধীনতারই একটা সীমানা আছে। আর সেই সীমানায় নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতাই কেবল ভোগ করতে পারে মানুষ। আজকের বিশ্বায়ন ও ভূখন্ডভিত্তিক জাতীয়তাবাদের যুগে সেই স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত হয় সংশ্লিষ্ট দেশের শাসকগোষ্ঠি ও ক্ষমতাধরদের মাধ্যমে। শুধু ইসলাম ও মুসলমানের ঈমানের ভিত্তিতে ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রের কথা বললেই তোলা হয় গোঁড়ামী সংকীর্ণমনার তত্ত্ব।
রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন পার্থিব জীবনটা একজন মু'মিনের জন্য বন্দিদশার মতো। (চাইলেই সবকিছু করতে পারে না সে। বরং মনের চাওয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হয় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ দ্বারা) পক্ষান্তরে একজন কাফের বা অমুসলিমের জন্য ইহলৌকিক জীবনটা জান্নাতের মতো। (যা খুশি করতে পারে সে)-মুসলিম২৯৫৬ আল্লাহ বলেন-তাদেরই ঠিকানা হবে জান্নাত, যারা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়ার ভয় করে এবং নিজের কূপ্রবৃত্তির চাহিদাকে নিয়ন্ত্রন করে।- নাযি'আত ৪০
সুতরাং সীমিত পরিসরের স্বাধীনতা সম্ভব হলেও কোন মুসলিম এমনকি কোন মানুষই পরিপূর্ণ স্বাধীন হতে পারে না। একজন মুসলিম তার পালনকর্তার নির্দেশনার গণ্ডির ভেতরে থেকেই স্বাধীনতা ভোগ করবে , এর বাইরে গিয়ে স্বাধীন হতে চাওয়া আর মুসলমানিত্বের দাবি স্ববিরোধিতা ছাড়া কিছু নয়।
0 Response to "স্বাধীনতার সীমা কতটুকু"
Post a Comment