গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে
র্যাব পরিচয়ে অপহরণের পর
সিএনজিচালকের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা
পেলেন
অপহৃত
আবদুল
মোমেন
(৩৫)। গতকাল সোমবার
দুপুরে
কালিয়াকৈর এলাকা
থেকে
তাঁকে
উদ্ধার
করা
হয়। স্থানীয়রা দুই
অপহরণকারীকে পিটিয়ে
পুলিশের হাতে
তুলে
দেয়। আটক
অপহরণকারীরা হলেন-
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরপলাশবাড়ী গ্রামের মৃত
কাছিম
উদ্দিনের ছেলে
ইকবাল
হোসেন
(৪০)
ও
রাজবাড়ী সদর
উপজেলার বাঁশচন্দ্রপুর গ্রামের মো.
মুনসুর
আলী
খানের
ছেলে
জাহাঙ্গীর আলম
(৪৩)। আটককৃতরা পেশাদার অপহরণকারী বলে
পুলিশের কাছে
স্বীকার করেছে। আবদুল
মোমেন
শ্রীপুর পৌরসভার টিকাদান কর্মসূচির পরিদর্শক। তিনি শ্রীপুরের কেওয়া
পশ্চিমখণ্ড এলাকার
সার্ভেয়ার আফসার
উদ্দিনের ছেলে।
জানা
গেছে,
গতকাল
বেরা
১১টার
দিকে
আবদুল
মোমেন
মোটরসাইকেলযোগে মাওনা
চৌরাস্তা থেকে
শ্রীপুর পৌরসভায় যাচ্ছিলেন। পথে
শ্রীপুর-মাওনা
সড়কে
ব্যাপারিবাড়ী এলাকার
লালপুকুর পাড়ে
একটি
সিলভার
রঙের
হাইয়েজ
মাইক্রোবাস তাঁর
গতিরোধ
করে।
কিছু
বুঝে
ওঠার
আগেই
মাইক্রোবাস থেকে
৩৫-৪০ বয়সী তিন
ব্যক্তি নেমে
র্যাব পরিচয় দেয়।
র্যাব পরিচয় দিয়ে
অপহরণকারীরা মোমেনকে হাতকড়া
পরিয়ে
জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে
চোখ
বেঁধে
ফেলে।
তাঁর
ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলেই পড়ে
থাকে।
এ
সময়
মাইক্রোবাসটি মাওনা
চৌরাস্তা হয়ে
গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী মোড়
যাওয়ার
পর
ইঞ্জিন
বিকল
হয়ে
পড়ে।
পরে
অপহরণকারীরা র্যাব পরিচয় দিয়ে
গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী মোড়
থেকে
গাজীপুর সদর
উপজেলার হোতাপাড়া যাওয়ার
কথা
বলে
একটি
সিএনজি
অটোরিকশা ভাড়া
করে।
দুই
অপহরণকারী সদস্য
সিএনজি
অটোরিকশায় আবদুল
মোমেনকে পিরুজআলী-কালিয়াকৈর সড়কে
কালিয়াকৈরের মধ্যপাড়া ইউনিয়ন
পরিষদের উত্তর
পাশে
জামালপুর নামক
স্থানের বনে
নিয়ে
যায়।
র্যাব পরিচয়দানকারী দুজন
মোমেনকে কিছু
দূরে
নিয়ে
গাছের
সঙ্গে
বেঁধে
রেখে
সিএনজিচালককে মৌচাক
যেতে
বলে।
সিএনজিচালক শ্রীপুর পৌর
এলাকার
লোহাগাছ গ্রামের মৃত
আলাল
উদ্দিনের ছেলে
আবু
হানিফের সন্দেহ
হলে
তিনি
ওই
দুজনকে
নিয়ে
মধ্যপাড়া ইউনিয়ন
পরিষদের বাজার
এলাকায়
পৌঁছে
'ডাকাত-ডাকাত' বলে ডাকচিৎকার শুরু
করেন।
তাঁর
ডাকচিৎকারে আশপাশের মানুষজন ধাওয়া
করে
দুই
অপহরণকারীকে ধরে
বেদম
পিটুনি
দিয়ে
পুলিশের কাছে
সোপর্দ
করে।
জনতা
পরে
অপহৃত
মোমেনকে উদ্ধার
করে।
উদ্ধারের পর
আবদুল
মোমেন
জানান,
তাঁকে
হাতকড়া
পরিয়ে
জোর
করে
মাইক্রোবাসে ওঠানো
হয়।
তিনি
বাসায়
একবার
ফোন
করে
তাঁর
গ্রেপ্তারের খবর
জানাতে
চাইলে
অপহরণকারীরা তাঁর
চোখ
ও
মুখ
বেঁধে
ফেলে।
মাইক্রোবাসটিতে সাত-আটজন অপহরণকারী চক্রের
সদস্য
ছিল
বলে
তিনি
আঁচ
করতে
পারেন।
সিএনজি
অটোরিকশাচালক আবু
হানিফ
জানান,
তিনি
চিৎকার
না
করলে
মোমেনের ভাগ্যে
কী
ঘটত
তা
কেউ
বলতে
পারে
না।
কালিয়াকৈর মৌচাক
ফাঁড়ির
ইনচার্জ উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম
জানান,
গ্রেপ্তারকৃত দুজন
পেশাদার অপহরণকারী বলে
পুলিশের কাছে
স্বীকার করেছে।
অপহরণকালে তারা
সাতজন
ছিল।
বাকি
সদস্যরা মাইক্রোবাসের ইঞ্জিন
বিকল
হয়ে
যাওয়ায়
শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী মোড়ে
থেকে
যায়।
মোমেনের বরাত
দিয়ে
তিনি
আরো
জানান,
ওই
চক্রের
দুজনের
পরনে
র্যাবের পোশাক ছিল।
শ্রীপুর মডেল
থানার
পরিদর্শক আমির
হোসেন
কালের
কণ্ঠকে
বলেন,
'অপহরণের ঘটনায়
বাকি
পাঁচ
সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে
অভিযান
চলছে।
এ
ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল
থানায়
মামলা
দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।'
0 Response to "অটোরিকশাচালকের বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেলেন শ্রীপুরের মোমেন"
Post a Comment