(১৫জুন ): সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা,
মামলা, গ্রেপ্তার আতঙ্ক কিছুটা কমে এসেছে। কিš‘ দলটির ভেতরে নতুন করে দেখা
দিয়েছে ফোন আতঙ্ক। এই আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন বিএনপির দায়িত্বশীল
নেতারা। এরফলে এসব নেতা এখন টেলিফোনে কথা বলতে আগ্রহ দেখান না। কথা ফাঁস
হওয়ার ভয়ে কোনো মতামত দিতে সাহস পান না। দলটির সিনিয়র পর্যায়ের একাধিক
নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমনটা জানা গেছে। সূত্র মতে, অতি সম্প্রতি বিএনপির
নীতিনির্ধারণী ফোরামের দুই নেতার টেলিফোন কথাপোকথন ফাঁস হওয়া, গত বছরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার টেলিফোন
সংলাপ ফাঁস, সিটি নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ ও চেয়ারপারসনের
ব্যক্তিগত বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের মধ্যকার ফোন আলাপ ফাঁস এবং ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের
সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার কথাপোকথনের অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে মূলত
বিএনপি নেতারা টেলিফোন আতঙ্কে ভুগছেন।
এসব কারণে দলটির নেতারা এখন মিডিয়াকে এড়িয়ে চলছেন। এরফলে সমস্যার মুখে
পড়তে হয়েছে সংবাদকর্মীদের। বিশেষ বিষয়ে সাংবাদিকরা মতামতের জন্য বিএনপির
দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে এসব নেতাদের সরাসরি উত্তর,
ফোনে বলা যাবে না বরং বাসায় বা অফিসে আসেন।
আবার অনেক সময় অপরিচিত নম্বর দেখে বিএনপির অনেক নেতা তাদের মুঠোফোন আর রিসিভ করেন না। বাসার টেলিফোন নম্বরে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় রং নম্বর বা নেতা এখন বাসায় নেই। আবার তাদের পিএস বা এপিএস ফোন ধরে বলেন, স্যার এখন ব্যস্ত, নামাজের জন্য প্র¯‘তি নি”েছন ( কিš‘ দেখা যায় ওই সময় কোনো নামাজের সময় থাকে না বা ছিল না)। আবার আইনজীবী নেতাদের সহকারীরা বলেন, স্যার এখন কোর্টে তাই পরে ফোন করেন। নেতাদের ফোন না ধরার কারণে অনেক সময় বিএনপি সংশ্লিষ্ট সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের।
এমন অভিযোগ বিএনপি বিটে দায়িত্ব পালন করা অধিকাংশ সংবাদকর্মীর। তাদের অভিযোগ বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমনিতে মোবাইল ফোন ধরেন না। যদিও বা ধরেন তারপর তিনি বলেন, আমি ফোনে কোনো কথা বলব না, বলে রেখে দেন। বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহর সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কথা বলব না বরং আপনার প্রয়োজন হলে আমার বাসায় আসেন চায়ের দাওয়াত রইল। তারপর বসে কথা বলা যাবে। ¯’ায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজর“ল ইসলাম খান ফোন রিসিভ করলেও কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এছাড়া তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান। দলের ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান তার মুঠোফোন বাজলেও তিনি সচরাচর ফোন রিসিভ করেন না। যদিও কোনো সময়ে ফোন ধরেন তাহলে তিনিও তার বাসায় চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তবে অধিকাংশ সময়ই তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
বিভিন্ন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখর“ল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কজন নেতা বর্তমান কারাগারে রয়েছেন। কিš‘ বাইরে যেসব নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে ¯’ায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মাঝেমধ্যে হঠাৎ দেখা গেলেও পরক্ষণে আবার হারিয়ে যান। প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় ধরে তার ব্যবহƒত মুঠোফোনের নম্বরটিও বন্ধ। এছাড়া দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য ড. আর এ গনি, এমকে আনোয়ার, শামসুল ইসলাম, বেগম সরোয়ারি রহমানের মতো নেতারা এখন দলীয় কোনো ব্যাপারে কথা বলেন না।
এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেন, ফোনে কথা বলা এখন আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় কিছু স্বার্থান্বেষী হীনম্মন্য লোক এগুলো ফাঁস করে দেয়। আবার অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ফোনে কথা বলার পর যা বলেছি যে বিষয়ে কথা হয়েছে তা না লিখে অন্য একটি কথা লিখে দেন। তবে এটা সব সাংবাদিক করেন তা আমি বলছি না। কেউ কেউ এমনটা করে থাকেন। এ সময় তিনি একটি অনলাইন পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বলেন, এসব কারণে আমরা যারা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে রয়েছি তাদের ফোনে কথা বলাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা : সানোয়ার
আবার অনেক সময় অপরিচিত নম্বর দেখে বিএনপির অনেক নেতা তাদের মুঠোফোন আর রিসিভ করেন না। বাসার টেলিফোন নম্বরে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় রং নম্বর বা নেতা এখন বাসায় নেই। আবার তাদের পিএস বা এপিএস ফোন ধরে বলেন, স্যার এখন ব্যস্ত, নামাজের জন্য প্র¯‘তি নি”েছন ( কিš‘ দেখা যায় ওই সময় কোনো নামাজের সময় থাকে না বা ছিল না)। আবার আইনজীবী নেতাদের সহকারীরা বলেন, স্যার এখন কোর্টে তাই পরে ফোন করেন। নেতাদের ফোন না ধরার কারণে অনেক সময় বিএনপি সংশ্লিষ্ট সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের।
এমন অভিযোগ বিএনপি বিটে দায়িত্ব পালন করা অধিকাংশ সংবাদকর্মীর। তাদের অভিযোগ বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমনিতে মোবাইল ফোন ধরেন না। যদিও বা ধরেন তারপর তিনি বলেন, আমি ফোনে কোনো কথা বলব না, বলে রেখে দেন। বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহর সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কথা বলব না বরং আপনার প্রয়োজন হলে আমার বাসায় আসেন চায়ের দাওয়াত রইল। তারপর বসে কথা বলা যাবে। ¯’ায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজর“ল ইসলাম খান ফোন রিসিভ করলেও কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এছাড়া তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান। দলের ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান তার মুঠোফোন বাজলেও তিনি সচরাচর ফোন রিসিভ করেন না। যদিও কোনো সময়ে ফোন ধরেন তাহলে তিনিও তার বাসায় চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তবে অধিকাংশ সময়ই তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
বিভিন্ন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখর“ল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কজন নেতা বর্তমান কারাগারে রয়েছেন। কিš‘ বাইরে যেসব নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে ¯’ায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মাঝেমধ্যে হঠাৎ দেখা গেলেও পরক্ষণে আবার হারিয়ে যান। প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় ধরে তার ব্যবহƒত মুঠোফোনের নম্বরটিও বন্ধ। এছাড়া দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য ড. আর এ গনি, এমকে আনোয়ার, শামসুল ইসলাম, বেগম সরোয়ারি রহমানের মতো নেতারা এখন দলীয় কোনো ব্যাপারে কথা বলেন না।
এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেন, ফোনে কথা বলা এখন আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় কিছু স্বার্থান্বেষী হীনম্মন্য লোক এগুলো ফাঁস করে দেয়। আবার অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ফোনে কথা বলার পর যা বলেছি যে বিষয়ে কথা হয়েছে তা না লিখে অন্য একটি কথা লিখে দেন। তবে এটা সব সাংবাদিক করেন তা আমি বলছি না। কেউ কেউ এমনটা করে থাকেন। এ সময় তিনি একটি অনলাইন পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বলেন, এসব কারণে আমরা যারা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে রয়েছি তাদের ফোনে কথা বলাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা : সানোয়ার