.

তামিম–মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধ


তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের উদ্বোধনী জুটি স্বস্তি দিচ্ছিল। স্টেইন, মরকেল, ফিল্যান্ডারদের এই দুজন খেলছিলেন দারুণ প্রজ্ঞার সঙ্গে। উদ্বোধনী জুটিতে উঠে গিয়েছিল ৪৬ রান। কিন্তু অখ্যাত ফন জিলের লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা একটি নির্বিষ বলই বদলে দিল দৃশ্যপট। ইমরুল কায়েসের ক্ষণিকের জন্য হয়তো বল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর চোখজোড়া। তাতেই উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে নিজের কাজ সেরে ফেললেন কুইন্টন ডি কক। ইমরুল স্টাম্পড। অথচ, প্রোটিয়া বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়ছিলেন কিন্তু ওই ইমরুলই। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তাঁর সাজঘরে ফিরে যাওয়াটা তাই পরিস্থিতির বিচারে যথেষ্ট অসময়োচিতই। 

মুমিনুল ফিরেছেন সাইমন হারমারের বলে বোল্ড হয়ে। স্টাম্পের ঠিক ওপরে পড়া হারমারের অফব্রেকটি কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ না ঘটায় নিজের স্টাম্প ছত্রখান দেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁর। মোটামুটি ভালো একটা শুরুর পর খুব দ্রুতই ২টি উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাংলাদেশ অবশ্য ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ ও তামিমের ব্যাটে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত আছেন ৩০ রান করে। এখনো পর্যন্ত তাঁর ইনিংসে চারের মার মাত্র ২ টি। যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে বলের গুণাগুণ বিচার করে খেলছেন তামিম। তাঁর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ১২ রানে। মুমিনুলের বিদায়ের পর চেপে বসা প্রোটিয়া বোলারদের পাল্টা আঘাতটা কিন্তু হেনেছেন এই মাহমুদউল্লাহ যথেষ্ট সাহসের সঙ্গেই। 
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশ ৩০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছে ৮০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ (২৪৮) থেকে এখনো ১৬৮ রানে পিছিয়ে দল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন জুটিটি কত দূর দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু এটিই।