.

সাভারে গাড়ি চোর চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

সাভার প্রতনিধিি:- সাভারে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৪’র সদস্যরা। রবিবার দিবাগত রাত ১টায় সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন মো. জাকির হোসেন (৪০), মোহসীন (৪০), মো. রহমান (৫০), মোমিনুর রহমান (৫৭), মোবারক হোসেন (৪০), মনির হোসেন (৩৭) ও হেলাল (৫২)।
এ সময় আটকদের কাছে থেকে দু’টি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর পরিচালক খন্দকার লুৎফুল কবির।

র‌্যাব-৪ এর পরিচালক খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেনের (৩০) অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই সাতজনকে আটক করতে পেরেছি। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি চুরি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ আগস্ট রাতে আমিনবাজারের খন্দকার হোসেন প্লাজার সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-০২-২৯৭৩) ছাই কালারের একটি পুরনো টয়োটা গাড়ি জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, রবিবার ভোর ৪টায় হেমায়েতপুর কাঁচাবাজারের লালন টাওয়ার থেকে এই চক্রের অপর তিন আসামিকে আটক করা হয়। তিনজনের কাছ থেকে একটি সাদা রংয়ের টয়োটা (ঢাকা মেট্রো-গ ১৩-৭৭৭৬) গাড়ি জব্দ করা হয়।

প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদে করিম ও মনির জানায়, শাহাদাতের কাছ থেকে ছিনতাই করা গাড়িটি বেলালের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। গাড়িটির রং ও আকৃতি পরিবর্তন করে মোহসীন।

র‌্যাব-৪ এর পরিচালক আরও বলেন, চক্রটি তিন ধাপে কার্যক্রম চালাতো। প্রথমে যাত্রীবেশে গাড়ি ভাড়া করতো। নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে ছিনতাই করে প্রয়োজনে চালককে হত্যাও করতো তারা। দ্বিতীয় ধাপে, ছিনতাই করা গাড়িটি নিয়ে রং ও আকৃতি পরিবর্তন করতো। এরপর ওটা বিক্রি করতো। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভুক্তোভোগী শাহাদাত হোসেন একজন গাড়ি চালক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৩০ মে করিম ও মনির মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে আব্দুল্লাহপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে। যাওয়ার পথে সাভার থানা রোডের সামনে থেকে করিম তার স্ত্রী ও সন্তানকে তুলে নেয়। ওই দিন আনুমানিক রাত ৯ টায় মাদারিপুরের টেকেরহাট হাইওয়ে রোডে করিম তার স্ত্রী-সন্তানকে নামিয়ে ঢাকার দিকে রওয়ানা করে।

তিনি জানান, ‘মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ছানবাড়ির সামনে আসলে করিম আমার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর পেছনে বসা মনির পিস্তল দিয়ে আমার বুকে আঘাত করলে আমি জ্ঞান হারাই। ছিনতাইয়ের পর মনির আমাকে ফোন করে দেড় লাখ টাকা দাবি করে গাড়ি ফেরত দেওয়ার জন্য। আমি বিকাশের মাধ্যমে ধাপে ধাপে ৯০ হাজার টাকা দিলেও তারা গাড়ি ফেরত দেয়নি। পরে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করি। কিন্তু কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় আমি র‌্যাবকে বিষয়টি জানাই।