নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদ মানেই খুশি আর সেই আনন্দকে আরো বেশি মধুর করতে কে না চাই সহোদরদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। এদিকে ঈদের এখনো ৬দিন বাকি। কিন্তু ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই চলে যাচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে ছাত্র, গৃহবধূ আর শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর অন্যতম বাস টার্মিনাল গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল ও এর আশপাশের বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মত। সকাল থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। যাদের আগেই টিকিট কাটা ছিলো তারা স্বাচ্ছন্দে বাড়িতে যাচ্ছেন।
অফিস-আদালত ছুটি না হলেও রাজধানীতে লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীরা ঈদ করতে আগেই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। শেষ দিকে রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা,অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ের কথা ভেবে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
হানিফ পরিবহণের সামনে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সানজিদা বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়েছে। কেনাকাটর জন্য দুই দিন পরে বাড়ি যাচ্ছি। ঈদে যাত্রীদের যে চাপ তা এখনো শুরু হয়নি। তাই রাস্তায় তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।
কথা হয় যশোর গামী সোহাগের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। সবার সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। অফিস-আদালত ছুটি হবে আগামী ২২ অথবা ২৩ তারিখের দিকে। তখন খুব ভিড় হবে, এই চিন্তা করেই আজ যাচ্ছি।