.

দেশে শান্তি বজায় থাকলে ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে : প্রধানমন্ত্রী

nhcrfনিউজ,বগুড়া, ১৩ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে।
শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক সহিংস রাজনীতির উল্লেখ করে বলেন, তিনি এবং তার ছেলে ধ্বংসাত্মক ও সন্ত্রাসের রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এখানে এক জনসমাবেশে ভাষণ প্রদানকালে এ কথা বলেন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশকে আর কেউ পিছে ঠেলে দিতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বগুড়ার উন্নয়নকে পৃথকভাবে দেখছে না। বগুড়া দেশের একটি অংশ এবং দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় বগুড়ার উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বগুড়া সফর উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্থানীয় আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। জনসমাবেশটি একটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আশপাশের সড়কগুলো ছিলো জনতার ভিড়ে ঠাসা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত্ এই জনসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সিদ্দিক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পঙ্কজ দেবনাথ, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান এমপি ও আব্দুল মান্নান এমপি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে কখনো বঞ্চিত হয়নি। আওয়ামী লীগ যখনি ক্ষমতায় এসেছে, তখনি জনগণ কিছু না কিছু পেয়েছে। দেশের জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে কখনোই বঞ্চিত হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরাঞ্চল একসময় খুবই অবহেলিত ছিলো। একসময় এই অঞ্চল মঙ্গার অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিলো। গত সাত বছরে এলাকায় কোনো মঙ্গা নেই। আওয়ামী লীগ সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিনামূল্যে দরিদ্র লোকদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়ে মঙ্গাকে বিদায় জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশে সকল নাশকতামূলক কর্মকা-ের পেছনে খালেদা ও তার পুত্র তারেক জিয়ার হাত রয়েছে। তারেক জিয়া গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আর কখনও রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করে।
তিনি বলেন, তার মা রাজনীতির নামে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যার পর এখন তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তারা এখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিদেশীদের হত্যা করছে। এর মাধ্যমে তারা আবার বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রের পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ কখনও বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেবে না। তারা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। সকল ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে থাকবে।
যেকোন চক্রান্তের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, তাই বাংলাদেশের জনগণ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে না। কারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করতে চায় সে ব্যাপারে জনগণ সচেতন রয়েছে।
বগুড়ায় গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আগুন দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির পুরো পরিবারকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা চালিয়েছে। প্রতিবেশীরা ওই নেতাসহ পরিবারটিকে ওপর তলা থেকে নামিয়ে এনে রক্ষা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি ৩৪ দিন হরতাল ডেকেছে। তারা জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মসজিদ, স্কুল ও পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়েছে। এ সময় তারা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ২৬ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। হত্যা ও চক্রান্তের রাজনীতি ছাড়া বিএনপি জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি। কারণ, বিএনপির হুমকিকে অপেক্ষা করে জনগণ সাহসের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছে। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয় সে জন্য তার দলকে ভুগতে হয়।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বর্জন ছিল খালেদা জিয়ার একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তবে নির্বাচন বানচালের নামে তিনি ও তার ছেলে যে অপরাধ করেছেন সে জন্য জনগণের কাছে চিরকাল খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাঁর সরকার শিক্ষার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ, শিক্ষিত নেতৃত্ব ছাড়া দেশ উন্নত হতে পারে না। অশিক্ষিত ও অযোগ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাঁর সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিটি মানুষের আয় বেড়েছে। নিজস্ব কর্মসংস্থানে যুবক-যুবতী ও মহিলারা সরকারের সমর্থন পাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে দেশ ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে। আওয়ামী লীগের নীতি জনগণকে আধুনিক প্রযুক্তি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও অন্যান্য সেবা পেতে সহায়তা করেছে।
বগুড়ার উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবারের মতো বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০১ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে বলে তিনি বগুড়ার জনগণকে আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, সান্তাহারে একটি আধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে। কর্মসংস্থান এবং বগুড়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ অঞ্চলে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ জনগণের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে তাঁর সরকার ‘পল্লী জনপদ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের সম্পদ ও গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করে এই বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার জন্য তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রধান হিসেবে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং আগামীতে এ বাহিনীর আরো আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয় সবকিছু করবো।’
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোর সেন্টার ও স্কুলে সাঁজোয়া কোরের ১২ ল্যান্সার কোরকে ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান এবং সাঁজোয়া কোর পঞ্চম পুনর্মিলনী-২০১৫ অনুষ্ঠানে ভাষণকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সাঁজোয়া কোরের পঞ্চম পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন এবং খোলা জীপে চড়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এরপর তিনি সাঁজোয়া কোরের ১২ ল্যান্সার কোরের কমান্ডারের হাতে ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড তুলে দেন। ১২ ল্যান্সার কোরের দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম, দায়িত্বশীলতা ও দেশ সেবার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড প্রদান করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসের শহীদ বদিউজ্জামান প্যারেড মাঠে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
মন্ত্রিবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু ইসরার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ ও কূটনীতিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিজস্ব প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা দিয়ে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্য পরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে তাঁর সরকার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে প্রতিরক্ষা নীতি ও ফোর্সেস গোল অর্জনের জন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকার ১টি পদাতিক ব্রিগেড, ১টি কম্পোজিট ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন, ১টি সাঁজোয়া ইউনিট, ৩টি পদাতিক ইউনিট, ২টি আর্টিলারি রেজিমেন্ট, ১টি রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ২টি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১টি সাপোর্ট ও ট্রান্সপোর্ট ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠন করেছে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষণের মান যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে এনডিসি, বিপসট, এএফএমসি, এমআইএসটি ও এনসিও একডেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তোলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পদাতিক রেজিমেন্টের উন্নয়ন ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর উন্নযনে সম্ভাব্য সব ধরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন এবং এর অধীনে ১টি পদাতিক ব্রিগেড সদর ও ২টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরাপত্তা ও তদারকিতে আরও ২টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও ১টি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে নতুন ১টি ক¤েপাজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদরদপ্তর এবং এর অধীনস্থ ব্রিগেড ও ইউনিটসমূহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সেনাবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক এপিসি, এআরভি, ব্যাটেল ট্যাংক-২০০০, আরমার্ড রিকভারি ভেহিকেল, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। একইভাবে নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ এই কোরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর দাম্ভিকতা চূর্ণ করা এবং যুদ্ধে শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত-এর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ৩০টি টি-৫৪ ট্যাংক দিয়ে সাঁজোয়া কোরের শুভ সূচনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, এ কোরে নতুন অত্যাধুনিক ট্যাংক এমবিটি -২০০০ সংযোজন করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও দুটি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট গঠনের পরিকল্পনাও বিবেচনাধীন রয়েছে। এছাড়া সাঁজোয়া কোরের পুরাতন ট্যাংকগুলোকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আপগ্রেডেশনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্র্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিবেদিত প্রাণ। সাঁজোয়া কোরের সদস্য হিসেবে আপনাদের মূল্যবান যুদ্ধ সরঞ্জামগুলোকে নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে সচল রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবহারিক জ্ঞানকে আরও উন্নত করতে হবে।
ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড অর্জনের জন্য সাঁজোয়া কোরের ১২ ল্যান্সারের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতি লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই জাতীয় পতাকা পেয়েছে।
তিনি এই কোরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় পতাকা লাভ করে আপনারা বিরল সম্মান অর্জন করলেন।
অনুষ্ঠানটি উপলক্ষ্যে পরে তিনি এক যায়তুনের চারা রোপন করেন।

0 Response to "দেশে শান্তি বজায় থাকলে ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে : প্রধানমন্ত্রী"

Post a Comment