চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চলছে মহররম মাস ২৪শে নভেম্বর। ঐতিহাসিক ১০শে মহররম আগামী কাল। যখন দিনের আলোর শেষে রাতের আধাঁর ঘনিয়ে আসলো ঠিক তৎখনাত বহদ্দারহাট র্নিমাণনাধীন ফাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে ১৪টি তাজা প্রানের মূত্যুতে নেমে আসে সারাজীবনের জন্য আধাঁর রজনী। সাথে সাথে তাদের পরিবারের জন্য নেমে আসে সারা জীবনের কান্না। ঘটনার সূত্রে জানা যায় প্রকৌশলীর ত্রুটির কারনে ফাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙ্গে প্রায় অর্ধে শতাধিক আহত হয়। তৎখনিক মূত্যু সংখ্যা নয় জন। সোমবার ভোর ৫:৩০ মিনিটে ঘটনার স্থলে পোঁছায় ক্রাইম ওয়ার্চ রিপোর্টার ঠিক সে মুহুতে দেখা যায় বহদ্দারহাটের অদূরে কিছু খাবার দোকান খুলছে। নির্মানাধীন ফাইওভারের সমূখে সেনা বাহিনী, পুলিশ,র্ যাব ও ভিজিভি সদস্যরা উদ্ধার কার্য্যক্রম চালাচ্ছে। উদ্ধার কর্মীরা দারুণ ব্যস্ত। ভোরের হিম হিম শীতের বাতাস বইছে। বাতাসের সাথে ভেসে আসছে লাশের র্দূগন্ধ। অন্য অনেকের তুলনায় বহদ্দারহাটের মোড়কে একটু বেশী চেনেন সিটি করর্পোরেশন প্রহরী সোলেমান। ক্রাইম ওয়ার্চকে জানান গত ২৯ই জুন যখন এই ফাইওভার টি আর একবার ফাইওভারের গার্ডারের ভেঙ্গে পড়ছিল ঠিক সেই দিন ছিল শুক্রবার। জুমার নামাজের পর পর লোক জন তেমন ছিল না শুধু একজন রিকশাওয়ালা আহত হয়ে ছিল। তবে এইবার একই দূঘটনায় তখন নিচে ছিল অনেক মানুষ। (বউত মানুষ মইজ্য। যারা হাম গইয্যে ইতারাই মইজ্য। যেতারাই গার্ডার টানা টানি গইতে যাইএরে পইয্যে)।
অর্থাৎ গার্ডার পড়ে অনেক লোক মারা গেছে যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের গাফলতিতে এই দূঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ফাইওভারের উপরে হাইড্রোলিক জগ দিয়ে গার্ডার বসাতে গিয়ে হওয়ার পেশার কম থাকায় ই গার্ডার টি ২য় গার্ডারের উপরে ধাক্কা লাগে। ২য় গার্ডারটির ধাক্কায় ৩য় গার্ডার টির উপর ধাক্কা লাগে ফলে ৩য় গার্ডার টি আগে গড়ে। তারপর পযার্য়ক্রমে ২য় এবং ১ম গার্ডারটি পড়ে। ঘটানার স্থলে খুব কাছে খাজা হোটেলের মোড় হোটেল শ্রমিক রফিক জানায় সেই সন্ধ্যা তার চোখের সামনে ভেঙ্গে পড়ে সেই গার্ডার গুলো। ফাইওভারের নিচে বাজার হওয়া এবং বহদ্দারের পুকুর পাড়ে ছাত্রদের আড্ডা বসাই প্রায় ৬০-৭০ জন লোক ছিল। গার্ডারটি পড়ার পরে অনেক লোক নিচে চাপা পড়ে ছিল। দোকানের সামনে দেখা গেল টেবিল পেতে বসে ছিল নির্বাহী হাকিম। একজন ফজলে আমিন। ২য় জন আলি আসিফ এমতিয়াজ। তাদের তত্বাবধানে চলতেছে উদ্ধার কার্য্যক্রম। নির্বাহী হাকিম দুই জনের সাথে কথা বলায় তিনি মনে করেন একই নির্মাণ কাজে দুই দুই বার দূঘটনা এইটি কোন ভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। বিজ্ঞ হাকিম মনে করেন একটা নির্মাণনাধীন ফাইওভারের নিচ দিয়ে মানুষের সহয্যে অবাধ চলা চল এবং কাঁচা বাজার বসানোর সুযোগ থাকার কথা নয় ?
0 Response to "চট্টোগ্রাম বহদ্দারহাট ২য় বারের মত ফাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে ১৪টি তাজা প্রাণের মর্মান্ততিক মুত্যু"
Post a Comment