
স্টেশন খুলনা এর সরকারি চুক্তির পরিপন্থি কাজের সঙ্গে প্রত্যাক্ষভাবে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আইসোল্যাক্স এর প্রকল্প প্রধান মি. ক্যানেট এর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলতে চাইলে, মি. ক্যানেট কথা বলতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। পরে আইসোল্যাক্স এর অন্যতম কর্মকর্তা মি. চিন্ময় চক্রবর্তী আমাদের প্রতিনিধির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হন। যা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পরিপন্থী কাজ। উল্লেখ্য যে, নিন্মবর্ণিত কর্ম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আমাদের বিশেষ তদন্ত টিমের আগমন ঘটিলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রকার ব্যর্থ হইয়াছে। উহা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের পরিপন্থি কাজ। সরকারের ঘোষণা মোতাবেক চুক্তি ও প্রচলিত আইনের মধ্যে না থেকে কোন প্রকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ নিজ ইচ্ছামত খামখেয়ালীমতে আইসোল্যাক্স এর ভাষ্য অনুযায়ী ১,০০০ কোটি টাকা, অপরপ্রান্তে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশনের ভাষ্য মতে ১,৫০০ কোটি টাকার কাজ নামমাত্র মূল্যে আইসোল্যাক্স কোন প্রকার মানসম্পন্ন কাজের তোয়াক্কা না করে নিজের মত করে কাজ করে যাচ্ছে। যে কারণে আইসোল্যাক্স তার একক স্বৈরাচারী আচরণের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হইতে বঞ্চিত হচ্ছে। আইসোল্যাক্স এবং নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী চুক্তিতে কি বলা আছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করিলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কোন প্রকার তথ্য দিতে সম্পূর্ণ প্রকার ব্যর্থ হন। আমাদের প্রশ্ন আইসোল্যাক্স প্রকল্পটি সম্পন্ন করার উদ্দেশ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কাজটি সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে আইসোল্যাক্স কোন প্রকার সাব-অর্ডিনেট কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করতে হলে যথাযথ আইন মান্য করে সরকারের রাজকোষে টাকা জমা প্রদান পূর্বক গণ মাধ্যমে / পত্রিকায় প্রকাশ করে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করার কথা থাকলেও আইসোল্যাক্স কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনে আইসোল্যাক্স তার নিজের মত করে কর্ম সম্পাদন করে যাচ্ছেন যে কারণে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপর প্রান্তে প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে অদক্ষ, শিশু শ্রমিক ও বয়বৃদ্ধ শ্রমিক সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়মনীতি না মেনে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রচলিত বাজার দর অনুযায়ী না হয়ে অধিনস্ত ঠিকাদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে শিশু শ্রমের মত জঘন্য কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এই সমস্ত অদক্ষ শ্রমিকদের কে নাম মাত্র মূল্যে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার ভিতর সীমাবদ্ধ রেখে এই সমস্ত ঝুকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে অন্যায়ভাবে অধিনস্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন। নিয়মনীতি মাফিক যথাযথ চুক্তি অনুযায়ী অর্ডার মোতাবেক কাজ না করে মানহীন পার্টস/যন্ত্রাংশ দ্বারা এই বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমাণের অর্থের অপচয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে আইসোল্যাক্স সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনিন মানবাধিকার ঘোষণা মোতাবেক- “প্রত্যেকের নিজ ও পরিবারবর্গের মানবিক মর্যাদা রক্ষা ও জীবন ধারণের উপযুক্ত ন্যায়সঙ্গত পারিশ্রমিক পাওয়ার এবং প্রয়োজনে অন্য কোন উপায়ে সামাজিক সহায়তা লাভের অধিকার রয়েছে। উল্লেখ্য আইসোল্যাক্স খুলনা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে সরকারি আর্মসধারী শ্বশস্ত্র ফোর্স দ্বারা সার্বিক নিরাপত্তার কথা প্রদান করার কথা থাকলেও সরকার কর্তৃক নিযুক্ত আনসার বাহিনীর সদস্যদের চুরির অভিযোগে আনসার বাহিনী প্রত্যাহার করে একটি বিদেশী নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অদক্ষ যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব থাকা স্বত্ত্বেও সরকারি নিয়মনীতি না মেনে আনসার বাহিনী উঠিয়ে দিয়ে কি কারণে এই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ করা হইল এটা সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানের অজানাই থেকে গেল। উল্লেখ্য যে, বিদেশী সংস্থা নিরাপত্তা স্বত্ত্বেও আমাদের কাছে অভিযোগ আছে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু দুষ্ট ব্যক্তির সহায়তায় অন্যায়ভাবে আর্থিকভাবে আইসোল্যাক্স এর কতিপয় কর্মকর্তা / কর্মচারীর যোগসাজসে রাতের আধারে কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনে অন্যায়ভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বহুমূল্যবান সিদ্ধ কাঠ, তামা, তার পাইপ এবং সর্বপরি কাজের পাশরক্ষিত স্ক্রাপ্ট, বালি, মাটি এবং আরো মূল্যবান ধাতব পদার্থ বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আনসার কর্তৃপক্ষ এই সকল কাজে বাধা প্রদান করিলে তাদেরকে চোর আক্ষায়িত করে আইসোল্যাক্স অধিনস্ত কথিত ঠিকাদার যথা ঃ মেসার্স এন.ডি.ই, আই.বি.এম.এস এবং সি.সি.সি. কনষ্ট্রাকশন এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যোগসাজসে বর্ণিত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে বিভিন্ন দুষ্টু চক্রের সংগঠিতভাবে ব্যবসায়ীদের নিকট অবৈধভাবে বিক্রি করে প্রচুর অবৈধ অর্থের মালিক হচ্ছে। ন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের বিশেষ তদন্ত টিমের অনুরোধে মাননীয় মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার খুলনা এর প্রদত্ত পুলিশ ফোর্সের সম্মুখে তদন্তকারী টিমের উপর প্রজেক্টের আশেপাশে ঘাপটি মেরে থাকা এই সমস্ত কথিত ঠিকাদারদের প্রেরিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের বিভিন্ন বাজে মন্তব্যের শিকার হয়ে তদন্তকার্যটি সম্পূর্ণরূপে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে বাধার মুখে ফেরত আসতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য যে নিম্নবর্ণিত কাজগুলি যথাযথভাবে যদি সুসম্পন্ন করা যায় তবে সরকারের এই এক হাজার পাঁচশত কোটি টাকার এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি লাভ করবে।
১। সরকারের চুক্তি অনুযায়ী সরকারের বিশেষ প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শাখা হতে প্রেরিত প্রকৌশলী দ্বারা কাজটি প্রত্যাক্ষভাবে নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে।
২। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য যে ধরণের উন্নত যন্ত্রপাতি ক্রয় করার কথা তা যথাযথভাবে স্বতন্ত্র জরিপকারী প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিনিধির মাধ্যমে দেখে, শুনে ও বুঝে যন্ত্রাপাতি ক্রয় করতে হবে।
৩। ১৫০ মেগাওয়াট বিদুৎ কেন্দ্র নির্মান কাজে তেল সরবরাহ লাইনের মূল নকশা পরিবর্তন করে আন্ডার গ্রাউন্ডের পরিবর্তে খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যখান দিয়ে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে অনুমতি ব্যতীত প্রতি মিনিটে ৪০০ লিটার তেলের সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত নির্মানকাজে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে ক্ষতি করা সত্বেও কোন ক্ষতিপূরণ দেয় নাই।
৪। কথিত অধিনস্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক কাজের মানকে আরো উন্নত করার জন্য দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ করে এই সমস্ত কথিত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিনস্ত নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ অমানবিক ও সরকারি আইন পরিপন্থি শিশু শ্রম অনতিবিলম্বি বন্ধ করতে হবে। প্রচলিত আইন ব্যবস্থা জেনেও আইসোল্যাক্স তার প্রকল্পে কেন এই শিশুদের দিয়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করছে, কি উদ্দেশ্যে করছে সেটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যাক বলে মনে হয়। যাহা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি ও প্রচলিত রাষ্ট্রের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শনের শামিল এবং মাবনাধিকারের সুষ্পষ্ট লংঘন তথা শ্রমিক নিরাপত্তা পরিপন্থি কাজের শামিল।
৫। আইসোল্যাক্স-এ কর্মরত এত বড় একটি প্রকল্পে একজন শ্রমিকেরও ইনস্যুরেন্স করা নেই।
৬। বিদেশী শ্রমিক কর্মচারী যারা নিয়োজিত আছেন কাগজে কলমে তাদের কনসালটেন্ট হিসাবে দেখানো হলেও তারা এই প্রকল্পে প্রত্যাক্ষভাবে শারীরিক শ্রম ব্যয় করে যাচ্ছে, যা প্রচলিত অভিবাসী আইন বিরোধী ও আমাদের রাষ্ট্রের সংগে প্রতারণার শামিল, প্রমাণ হইতেছে যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন আমরা বাংলাদেশীরা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত তথা দূর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার চেষ্টা সহ আমরা নিজেরা দূর্ণীতি করি না দূর্নীতি করতে দিব না। শ্লোগাণের উপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি তখন এই সমস্ত বিদেশী অধিক মুনাফা লোভী দুষ্টু প্রকৃতির বিদেশী চক্র আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নাম তথা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নামমাত্র ঠিক রেখে আমাদের সরকার তথা এ দেশের সাধারণ মানুষকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের দূর্নীতিবাজ হিসাবে ভূমিকা রাখতে পরোক্ষভাবে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে, অত্যন্ত সুচারূ রূপে নিজেরা তাদের নগ্ন থাবা প্রদর্শন পূর্বক এই সমস্ত অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে শামিল করে আমাদের সম্পদের প্রোপার ইউটিলাইজেশন যাতে না করতে পারি তাহার বিরুদ্ধে তাদের সমস্ত কাজের মধ্য দিয়ে দূর্নীতির মাত্রা কিভাবে অধিকহারে করা যায় সে ব্যাপারে সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উৎসাহিত করে চলেছেন যাহা আমাদের দেশ, জাতি তথা আমাদের সকলের জন্য এক মারাত্মক অপমান স্বরূপ কাজের শামিল।
৭। শ্রমিকদেরকে মাসিক বেতন ঠিকমত পরিশোধ করা হয় না এবং শ্রমিকদের বাসস্থান সহ অন্যান্য ভাতার কোন ব্যবস্থা নেই যেটা আমানবিক এবং মানবাধিকার লংঘনের স্পষ্টত শামিল। যা ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মানবাধিকার সংঘের ৯ ধারা মাফিক মারাত্মক আইন বিরোধী কাজ কোন ভাবেই মানুষের মৌলিক অধিকারের থেকে হরণের কাজের শামিল যাহা অন্যায়।
৮। অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য এবং জরুরী ভিত্তিতে স্থানান্তরিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলসহ যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিটের কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু প্রচলিত আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ৩ মাস ১৩ দিনের যদি কোন শ্রমিক কোন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তবে তাকে প্রচলিত আইন বিধি মোতাবেক ঐ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শ্রমিক
হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ তা কখনওই আমলে গ্রহণ করেন নাই। যেটা সরকার কর্তৃক আইন বিধির উপর ষ্পষ্টতভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলীর প্রদর্শনের শামিল যাহা অন্যায় ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশের শামিল।
৯। শ্রমিকদেরকে সেফটি ইন্ট্রডাকশন কোর্স করানোর কথা থাকলেও সেটা করানো হয় না। যে কাজটি নিয়োমিত করলে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা হতে শ্রমিকরা সহজ ভাবেই নিজের নিরাপত্তা বিধান করতে সক্ষম হত। যেটি ১৯৯৪ সালের প্রনীত আইন পরিপন্থী কাজের শামিল।
১০। বহিরাগত কোন দর্শনার্থী প্রকল্পে আগমন করিলে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে যে যেখান থেকে পারে তারা ঘুরাঘুরি করে যে কারণে ঐ প্রকল্পে নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্ন থেকে যায়।
১১। প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত সকল শ্রমিক/ কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে নির্ধারিত ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড বিতরণ করা হয় না।
১২। শ্রমিকদের প্রতিদিন সেফটি টুল মিটিং করার কথা থাকলেও করা হয় না। সেক্ষেত্রেও যথাযথ নিয়ম মানা হয় না।
১৩। শ্রমিকদের মেডিকেল ফিটনেস প্রতি তিন মাস অন্তর করার কথা থাকলেও সেটা যথাযথ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।
১৪। প্রতিটি যানবাহনের ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর ইন্স্যুরেন্স, রেজিষ্ট্রেশন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট ঠিকমত পাওয়া যাইনি।
১৫। লিফটিং ইকুইপমেন্ট (ক্রেন ও ক্রেনের লিফটিং সলিং, ফ্রকলিট, পলোডার, চেইনবক্স ইন্সেপেকশন ও লকশিট কোন কিছুই মেইনটেইন করা হয় না যা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
১৬। প্রজেক্টের নিরাপত্তার স্বার্থে সিকিউরিটি সহ সি.সি. টিভি ক্যামেরা ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা নাই বললেই চলে।
১৭। প্রজেক্টের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিচয় পত্র থাকার কথা থাকলেও যথাযথভাবে মান্য করা হয় না ও শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহের বিশেষ বিশেষ দূর্ঘটনার ভিডিও ক্লিপ্স প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সম্পর্কে অবগত করা হয় না।
এতদ্বারা এ সংক্রান্ত বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এহেন জঘন্যতম কার্য্যরে সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দ্বায়ে এক্ষনি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতারক এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আইসোল্যাক্স এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কথিত ৩ অধীনস্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শিশু শ্রমের মত জঘন্যতম কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দ্বায়ে কার্য অনুমোদন বাতিল পূর্বক নতুন অধিনস্ত ঠিকাদার যথাযথ নিয়ম মান্য করে নিয়োগ করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান করা হইল। পাশাপাশি শিশুশ্রমের মত ঝুকিপূর্ণ ও বয়োবৃদ্ধ শ্রমিক নিয়োগ কেন এই ৩ অধীনস্ত কোম্পানী কম বেতন / মূল্যে নিয়োগ করল তার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক বলে মনে করি। উল্লেখ্য উক্ত কোম্পানী আইসোল্যাক্সকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আইসোল্যাক্সের কাছে প্রেরিত ৫/৫/২০১৩ ইং তারিখের পত্র নং-নীল, তারিখ ৫/৫/২০১৩ইং চিঠিতে অনুরোধ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে উক্ত প্রকল্পের কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে ২০০৯ সালের সরকার কর্তৃক ঘোষিত তথ্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ৬ এপ্রিল ২০০৯ (২৩ চৈত্র ১৪১৫বাং) সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিবার পরে ২০০৯ সনের ২০ নং আইন তথ্যের অবাধ প্রবাহ জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্তে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক এবং যেহেতু জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হইলে সরকারী স্বায়াত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশী অর্থায়নের সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার বৃদ্ধি পাইবে দূর্নীতি হ্রাস পাইবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে এবং যেহেতু সরকারি স্বায়ত্ব শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নের সৃষ্ট প্রচালিত বিদেশী বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বিধান করার সমিচিন ও প্রয়োজনীয়। সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তথ্য আইনের বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেহেতু জনগণই রাষ্ট্রের মালিক ও সকল ক্ষমতার উৎস তাই রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে জানার অধিকার গণমানুষের রয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক, ও বাক স্বাধীনতা সকল নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং এ কারণে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীণতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত হলে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ও বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত সকল বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বাড়বে, দূর্নীতি কমবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে গত ৫ই এপ্রিল ০৯ তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইনটি রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছে এবং পরদিন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ আইনটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হলেও এর প্রধান তিনটি ধারা যথা তথ্যপ্রাপ্তির অনুরোধ (৮নং ধারা), আপীল নিষ্পত্তি (২৪নং) এবং অভিযোগ দায়ের (২৫নং), গত ১লা জুলাই, ২০০৯ থেকে কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ গত ১লা জুলাই, ২০০৯ থেকেই দেশের মানুষ প্রকৃতপক্ষে তথ্য প্রাপ্তির পরিপূর্ণ অধিকার ভোগ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইনটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কয়েকটি দেশের পর প্রণীত হলেও এ আইনে অপেক্ষাকৃতভাবে অধিকারটি সুবিন্যস্ত ও স্বচ্ছ হয়েছে।
এ আইনের সংজ্ঞায় (৪নং ধারা) বলা হয়েছে ‘এই আইনের বিধানবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকিবে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহাকে তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।’ দেখা যাচ্ছে, অধিকারটির বিষয়ে কোন ধরণের ধোয়াটেভাব রাখা হয়নি বা কোন রকম অষ্পষ্টতাও নেই। জনসাধারণ যে নির্দ্ধারিত তথ্য পেতে পারে সেহেতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যাবতীয় তথ্যের সূচী ও প্রতিপাদ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে (৫ (১) ধারা)। অর্থাৎ তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে গড়িমিসি করার সুযোগও থাকবে না। কোন কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রাপ্তির সহজ লভ্যতাকে সংকুচিত করতে পারবে না। প্রত্যেক কর্তৃপক্ষকে প্রতি বছর একটি করে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে যাতে থাকবে প্রতিষ্ঠনের কাঠামো, কার্যক্রম, কর্মচারীদের দায়িত্ব, নাগরিকদের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে প্রদত্ত সুবিদাধির বিবরণ, কোন শর্ত প্রযোজ্য হলে তার বিবরণ ইত্যাদি। এর ফলে একজন স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার করণীয় জানতে পারবেন। কোন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি থাকে তাহলে তা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ জানাবেন যাতে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আলাদাভাবে কাউকে কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন না হতে হয়। সুতরাং ২০০৯ সনের ২০ নং আইন তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্তে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইনটির উপর শ্রদ্ধা স্থাপন পূর্বক গত ৫/৫/২০১৩ তারিখে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট উক্ত প্রতিষ্ঠানের কার্য সম্পর্কিত তথা চুক্তিনামা সমূহ সহ জনস্বার্থে প্রকাশের জন্য ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন এর পক্ষ হইতে বৃহত্তর স্বার্থে একটি অনুরোধনামা / চিঠি প্রকল্প পরিচালকের নিকট রেজিষ্টার্ড ডাক যোগে ৯২২ নং রেজিষ্ট্রেশন মূলে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। অদ্যাবধি আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে এদেশের গণ মানুষের অধিকারের উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করে সরকারি আইন ভঙ্গসহ অবমাননাকর কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হইয়াছেন। যাহা রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন তথা সাধারণ মানুষের উপর অনাস্থা স্থাপন সহ এই সমস্ত কথিত বিদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে যথেষ্ট সততার সহিত কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও দাতাগোষ্ঠি হিসেবে আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ তথা সরকারকে পরোক্ষভাবে দূর্নীতি করতে সহায়তা করে যাচ্ছে। যেটা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশীদেরকে অপমান করা সহ বিশ্বের দরবারে দূর্ণীতিবাজ জাতি হিসেবে পরিচিতি করে তুলতে সহায়তা করছে। যে কারণে আইসোল্যাক্সের উপরোক্ত কর্মকান্ডের পর্যালোচনা পূর্বক এক্ষনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত জোর দাবী করা হইল।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনাবা ফিরোজা খানম কাউন্সিলর সংরক্ষিত আসন নং ৩ (৭, ৮ ও ১০নং ওয়ার্ড) থেকে ৩০/৪/২০১২ তারিখে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ বর্ণিত কাউন্সিলর মহোদয়কে পরিবেশগত স্থানীয় ছাড়পত্র প্রদানের জন্য একখানা দরখাস্ত প্রেরণ করিলে সম্মানিত কাউন্সিলর একই তারিখে না আপত্তি পত্র সংশ্লিষ্ট আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষকে না-আপত্তি পত্র প্রদান করেন। তৎপরবর্তী পর্যায়ে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ ০৪/০৭/২০১৩ তারিখে একখানা পরিবেশগত ছাড়পত্র খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় হইতে স্মারক নং- পরিবেশ/খুবি/ছাড়পত্র-৬৯৪৫/১২/২২৭১ নং স্মারক পত্রটি ৪/৭/২০১২ তারিখে প্রাপ্ত হন। কিন্তু আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ৩০/৪/২০১২ তারিখে পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে অনাপত্তি পত্র প্রত্যাহার প্রসংগে এলাকাবাসীর তীব্র গণচাপে উক্ত কাউন্সিলর না-আপত্তি পত্রটি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি চিঠি প্রদান করেন (কপি সংযুক্ত) এবং গণস্ব্ক্ষারিত দরখাস্তের (কপি সংযুক্ত)। স্থানীয় প্রশাসনের আপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ কেমন করে উক্ত পরিবেশগত পত্রটি প্রাপ্ত হইল তাহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করিলে তাহারা এটির বিষয়ে কোন সদ উত্তর প্রদান করিতে সক্ষম হন নাই। বিষয়টি আইসোল্যাক্সের অদৃশ্য শক্তি তথা সরকারি কর্মকর্তা / কর্মচারীদের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তা / কর্মচারীর স্পষ্টত সরকারি চাকুরীবিধি লংঘন তথা ধারণা করি প্রচুর পরিমাণ অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত পরিবেশগত ছাড়পত্র আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষের হস্তগত হয়। এক্ষনি উক্ত কর্মের সাথে বেআইনী ভাবে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে দোষী কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে রাষ্ট্রের সাথে মনে করি এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের আপত্তি পত্র সহ কেমন করে উক্ত ছাড়পত্রটি প্রদান করা হলো তাহা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে খুঁজে বের করার জন্য অত্যন্ত বিনয়ের সহিত অনুরোধ জানানো হইল।

লাইসেন্স প্রদান করা হয় নাই। উল্লেখ্য এত বড় প্রকল্পে যে খানে দিনে-রাতে ৩ শিফটে শত শত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা কাজ করে চলেছেন সে ক্ষেত্রে বর্ণিত শ্রমিক তথা কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের নিরাপত্তাজনিত বিষয়টি অদ্যবধি গ্রহণ করা হয় নাই যাহা সরকারি আইনপরিপন্থী তথা সরকারের রাজকোষে অর্থ জমা প্রদান না করে অন্যায় ভাবে খামখেয়ালী মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ঠকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। উল্লেখ্য এতবড় প্রকল্পের আনুমানিক ৩০ ফুট উপরে শ্রমিকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা / অদক্ষতা/ যথাযথ শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা স্থাপন না করে স্কাফোল্ডিং (স্টেজিং) প্রথার ব্যবহার না করে আনুমানিক বর্ণিত ৩০ ফুট উপরে শ্রমিকেরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষের খাম খেয়ালীপনার কারণে ভয়ে সংকিত হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সমস্ত শ্রমিকেরা অনবরত কাজ করে চলেছেন। অত উপর থেকে একজন শ্রমিক যদি দৈব দূর্ঘটনা জনিত কারণে পড়ে যান তবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নাই বললেই চলে। পাশাপাশি ঐ সকল শ্রমিকদের ক্ষতি পূরণ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় আইন মোতাবেক ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা নাই। উহা অমানবিক, আইনবিরোধী তথা স্পষ্টত মানবাধিকার লংঘনের শামিল। এই সংক্রান্তে আরও বলতে চাই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রম মান উন্নত করতে যখন সারা পৃথিবীর চাপের মুখে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সেই ইস্যুকে বাংলাদেশ সরকার যথাযথভাবে মান উন্নয়ন করার জন্য যখন অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই এই সমস্ত বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলি শ্রমিক নিয়োগের জন্য কতিপয় দুষ্টু চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আন্তর্জাতিক আইন তথা আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিশ্বে দরবারে এই সমস্ত কথিত বিদেশী সংগঠনগুলি বিশ্বের দরবারে তাদের কার্যকলাপের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে অসৎ ব্যক্তিত্ব তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে রাষ্ট্র তথা আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। এক্ষনে বোধ করি উক্ত আইসোলাক্স সংগঠনটির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনতি বিলম্বে কাজ বন্ধ করে সরেজমিনে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল শাখা থেকে প্রেরিত প্রতিনিধির মাধ্যমে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তথা তাদের প্রেরিত প্রতিনিধির সমন্বয়ে তদন্ত টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের কর্মকান্ড বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করা হোক এবং অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বিশ্বের দরবারে তাদের এহেন জঘন্যতম কার্যকলাপে নথি উপস্থাপন পূর্বক তাদের মুখোশ উম্মোচন করার জন্য জোর সুপারিশ করা হইল। সৃষ্টির আদি থেকে যেমন পৃথিবীতে বিস্ময়ের কোন কমতি ছিল না, তেমনি বহুকাল আগ থেকেই তৈরি হয়েছে নানা বিস্ময়তন তালিকা। পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য রহস্যময় ও বিস্ময়জাগানো কীর্তিগুলোকে আলাদা করার জন্য এই তালিকার তৈরী। সাধারণতঃ সাতটি সেরা বিষয়ের টপ লিস্ট করা হয় বলে একে ইংরেজিতে সেভেন ওয়াল্ডার্স এবং বাংলা সপ্তাশ্চর্য বলে। প্রাচীনকালে গ্রিক দ্রষ্টব্য স্থাপন দর্শনার্থীদের জন্য এমন করে তালিকা তৈরি থাকত। সেখানে থেকেই সেরা সাত আশ্চর্যের প্রচলন ঘটে বলে ধারণা করা হয়। মনুষ্যকৃত সাতটি বিস্ময়কর প্রাচীন উচ্চমানের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের তালিকাটিকেই বিশ্বের প্রথম সপ্তাশ্চর্যের তালিকা বলে মনে করা হয়। সাত সংখ্যাটিকে গ্রহণ করার কারণ হলো, গ্রিকরা এটিকে নিখুঁত ও পর্যাপ্ত বলে মনে করে। মধ্য ও আধুনিক যুগের তালিকাগুলোকে অন্তর্গত করে আরও বহু তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা আজ পৃথিবীর সেসব বিস্ময়কর বিষয় সম্পর্কে জানাব। (১) গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিদেশী অর্থায়নে নির্মাণের জন্য নির্মাণ কাজে শুরুর ঠিক প্রথম দিকেই বিদেশীরাই পদ্মাসেতু সম্পর্কিত বিষয়ে সম্পৃক্ত হয়ে তারাই দুর্নীতি করে আবার বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের রাষ্ট্রকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ করতে চাইলে সম্প্রতি এক গবেষণায় আমরা আমাদের রাষ্ট্রের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে আমরা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হই। ইহা আমাদের রাষ্ট্রের সফল কুটনীতির কর্মকান্ডের অংশ। পাশাপাশি এডিবির অর্থায়নে আনুমানিক এক হাজার পাঁচশত কোটি টাকার কাজ আজ নামমাত্র মূল্যে প্রত্যক্ষভাবে আইসোল্যাক্স কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইন না মেনে আমাদেরকে বিশ্ব দরবারে আবারও দূর্নীতিবাজ জাতি হিসেবে কাজ করতে তথা পরিচিতি লাভ করানোর জন্য সু কৌশলে কাজ করে যাচ্ছে। ইহা দুঃখ জনক, অমানবিক ও আমাদের সরকারের রাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন্থী। এই সকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে কথিত এই বিদেশী সংগঠন আমাদেরকে যাতে কোন ভাবেই চড়া সুদে এডিবির নিকট হইতে লোন প্রাপ্ত হইয়া আমাদের টাকা অন্যায়ভাবে খরচ করে নামমাত্র প্রকল্প তৈরী করে প্রচুর পরিমানে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান না হতে পারে তথা আমাদেরকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ না করতে পারে তথা শ্রম আইন না মেনে শিশু শ্রমিক নিয়োগ সহ বয়বৃদ্ধ, অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব প্রদর্শন পূর্বক কর্মকান্ডে যাতে অদ্য হইতে পরিচালনা না করিতে পারে তাহার জন্য সকল মহলের প্রতি দেশ তথা রাষ্ট্র তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে একক্ষনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হইল। উল্লেখ্য সপ্তাশ্চার্যের পাশাপাশি কেন এই দুর্নীতিবাজ কোম্পানীটি অষ্টাশ্চার্য সংগঠন হিসাবে সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি যে, সারা বিশ্বমন্ডলের নিকট ব্লাক লিষ্টেট কোম্পানী হিসেবে গণ্য করার জন্য জাতিসংঘ তথা বিশ্ব ব্যাংক তথা এডিবি সহ অন্যান্য দাতাসমূহ দেশ গুলোর প্রতি চিঠি দিয়ে তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কিত জানিয়ে ভবিষ্যতে এরা যেন আর কোন দেশে আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত না হতে পারে সে জন্য সুপারিশ করার জন্য আবেদন করা হইল। উল্লেখ্য গত কিছু দিন পূর্বে আমাদের মাননীয় পরারাষ্ট্র মন্ত্রী জনাবা ডা. দীপু মনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট প্রদর্শন এর সময় এই সমস্ত দাতা দেশ সমূহ দূর্নীতি তথা শিশুশ্রমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে, প্রশ্নগুলি উপস্থাপন করেন তার পুরোপুরি দায়ভার এই সমস্ত কথিত বিদেশী সংগঠনগুলি কর্মকান্ডের জন্য দায়ী।
বর্ণিত তথ্যভিত্তিক আলোচনায় উল্লেখিত অভিযোগগুলির যথাযথ তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো গেল।
0 Response to "খুলনায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি"
Post a Comment