.

কুখ্যাত সন্ত্রাসী শহীদ গংদের তান্ডবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত ০৪/০৬/২০১৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার সকাল অনুঃ ০৭.০০ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় আবেদনকারী আঃ হাকিম সিকদার শহীদ গংদের সাথে জমাজমির ভোগ দখল সংক্রান্তে আমাদের বহুদিন পর্যন্তত্ম বিরোধ বিদ্যমান। আসামীগণ, তাদের বাপদাদার নামের রেকর্ডীয় বাড়ির জমি এবং নাল জমি দাঙ্গাবাজদের মাধ্যমে বেদখলের অপতৎপরায় লিপ্ত থাকিয়া তাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করিতেছে। তারা দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী, পরবত্ত লোভী প্রকৃতির মানুষ। প্রকাশ থাকে যে, বিরোধীয় জমি নিস্পত্তির লক্ষে তারা উভয় পক্ষ স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্যদের সমন্বয়ে সমাধানের চেষ্টা করিলে, কতিপয় গণ্যমান্যদের পরামর্শে তারা তাদের জমির কাগজপত্র দুইজন দুই পরে উলিক মনোনীত করি এবং তাদের মাধ্যমে জমির বিষয় সুরাহা হইলে, উভয় পদ্বয় মানিয়া নেয়। সেই মোতাবেক তারা জমি ভোগদখল করিতে থাকিলে আসামীরা গায়ের জোরে উকিল নিস্পত্তির আদেশ (লিখিত) অমান্য করিয়া পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে তাহাদের জমিতে প্রভাব বিস্তারের ল্েয ঘটনার তারিখ ইং ০৪/০৬/২০১৩ তারিখ মঙ্গলবার সকাল অনুঃ ৭.০০ টার সময়, ছেনা, রামদা, দাও, বাঁশের ও গোড়ার লাঠি ইত্যাদি প্রাণনাশকারী অস্ত্র সহকারে বেআইনীজনতাবদ্ধে অনধিকার তাদের বাড়ির ভিটির ঘরের সামনে ও ঘরের দরজায় লাথি মারিয়া দরজা ভাংগিয়া অনধিকার ভিতরে প্রবেশ করিয়া খুনের উদ্দেশ্যে তাদের খোজাখুজি করিতে থাকে, আসামীরা তার ছেলে রিপণকে ঘরের মধ্যে পাইয়া তাকে ধরিয়া আসামীরা ঘর হইতে টানহ্যাছড়া করিয়া বাহিরে উঠানে নামাইয়া আসামী জাহাঙ্গীর তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া খুনের উদ্দেশ্যে কোপাইয়া রিপণের বাম হাতের কনিষ্ঠ আংগুল কেটে এবং অন্য আংগুলে গোড়া অংশে জখম করে। রিপণের আর্ত চিৎকারে তার ভাতিজা ১, ২ ও ৩নং সাক্ষীগন দৌড়াইয়া আসিয়া রিপণকে বাঁচানোর চেষ্টাকালে আসামীগণ তাদেরকে আক্রমন করে এবং ১নং আসামী তাহার হাতে থাকা ছেনা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষী কবিরের মাথার উপর পরপর দুইটি কোপ দিয়া গুরুতর হাড়কাটাজাত জখম করে। ২নং আসামী তাহার হাতে থাকা রামদা দ্বারা খুনের উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষী মাসুদকে মাথা ল্য করিয়া কোপ দিলে মাসুদ তাহার ডান হাত মাথার উপর আত্মরার জন্য ধরলে উক্ত কোপ মাসুদের হাতের কব্জির উপরের অংশে পরিয়া হাতখানা সম্পূর্ণভাবে হাড়মাংস কাটিয়া বিচ্ছিন্ন হইয়া গুরম্নতর রক্তাক্ত জখম হয়। মাসুদ মাটিতে পড়িয়া গেলে ৬ নং আসামী ইউনুছ তাহার হাতে থাকা দা দিয়া খুনের উদ্দেশ্যে ডান পায়ের রানের উপর কোপ দিয়া মারাত্মক জখম করে। ৩নং আসামী তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া খুনের উদ্দেশ্যে ৩নং সাক্ষী আলমের বাম হাতের উপর কোপ দিয়া গুরুতর হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম করে। জখমীদের ডাক চিৎকারে ঘরে থাকা মহিলাগণ নামিয়া তাদের রা করার চেষ্টা করলে ৫,৬,৭,৮,৯ নং আসামীরা তাদের হাতে থাকা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দিয়া তাদেরকে এবং জÿমীদের পিটায়। ২নং আসামী সাক্ষী কুলছুমের গলায় থাকা স্বর্ণের ১ ভরি ওজনের চেইন ৫৫,০০০/= (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা তাহা নিয়া যায়। জখমীদের আর্ত চিৎকারে সকলে আরো অন্যান্য সাীগণ ঘটনাস্থলে আসিলে আসামীরা চলে যায়। পরে গুরুতর জখমী ১,২,৩,৪ নং সাী কবির, মাসুদ, আলম এবং রিপনকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স আনা হইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে আশংকাজনক অবস্হায় রবিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। কবির ও মাসুদের অবস্হা আশংখা জনক। বাদীঃ- আঃ হাকিম সিকদার (৫০), পিতামৃত হাসেম আলী সিকদার, সাং- কাকড়াবুনিয়া (৫নং ইউ, পি), থানা- মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী। আসামীঃ- ১) মোঃ সহিদ (৩৮), ২) মোঃ মনির (৩০), ৩) মোঃ বাদল (৩২), ৪) মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), সর্ব পিতামৃত-মোঃ পানজেত আলী সিকদার ৫) মোঃ নাসির (২৮), পিতা- মোঃ অরেচ আলী বকস, ৬) মোঃ ইউনুছ (৩৫), পিতামৃত কাঞ্চন আলী সিকদার ৭) মোঃ অরেচ সিকদার (৪২), পিতামৃত গহুর আলী সিকদার, (৮) মোসাঃ মিনারা বেগম (৩০), স্বামী মোঃ সহিদ, ৯) মোসাঃ কুলছুম (২৭), স্বামী মোঃ মনির ১০) মোসাঃ আমেলা বেগম (৩৭), পিতামৃত কাঞ্চন আলী সিকদার, সর্ব সাং কাকড়াবুনিয়া (৫নং ইউ, পি), থানা- মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী সহ ৭/৮ জন। সাক্ষী- ১) মোঃ কবির (জখমী) ২) মোঃ মাসুদ (জখমী), ৩) মোঃ আলম (জখমী), সর্ব পিতামৃত আঃ লতিফ সিকদার, ৪) মোঃ রিপন (জখমী), পিতা আঃ হাকিম সিকদার, ৫) মোঃ হাতেম সিকদার, পিতামৃত হাসেম আলী সিকদার, ৬) মোসাঃ কুলছুম বিবি, স্বামী মৃত আঃ লতিফ সিকদার, ৭) মোঃ মাহাবুব, পিতামৃত মোতাহার সিকদার, ৮) মোঃ মজিবর, পিতামৃত সেকান্দার হাং ৯) আঃ রাজ্জাক হাং, পিতামৃত নয়ন হাং, সর্ব সাং কাকড়াবুনিয়া (৫নং ইউ, পি), থানা- মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী সহ আরো বহু সাক্ষী আছে।

0 Response to "কুখ্যাত সন্ত্রাসী শহীদ গংদের তান্ডবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ"

Post a Comment