মোঃ মাসুদুল আলম অপু, স্বরূপকাঠী(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মা ও শিশু বিষয়ক চিকিৎসক এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জগলুল ফারুকের বিরুদ্ধে অনিয়মিত অফিস করা ও রোগীদের কাছ থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় সরেজমিনে হাসপাতালে গেলে তাকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তার চেম্বার ভর্তি রোগী থাকলেও তিনি বরিশালের বাসা থেকে তখনও পৌছাননি। চেম্বারে বসে থাকা কুরিয়ানা গ্রামের নির্মল হালদার জানান তিনি তার শিশু সন্তানকে নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বসে আছেন। হাসপাতালে উপস্থিত উপজেলা ছাত্র লীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোঃ সোহেল পারভেজ জানান ডাঃ জগলুল ফারুক অফিস চলাকালীন সময়ে রোগীদের কাছ থেকে ফি নেন।
গরীব রোগীদের বেলায়ও তার কাছে কোনো ছাড় নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএ ডাঃ অরুন চন্দ্র মন্ডলের কাছে তার হাসপাতালের ডাঃ ফারুকের অনিয়মিত উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগটি তার অধীনে নয়। কি কারণে জগলুল ফারুক দেরীতে আসেন সে বিষয় তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান ডাঃ অরুন। পরে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে খোজ নিয়ে অফিস সহকারী দুলাল মিয়ার কাছ থেকে ডাঃ জগলুল ফারুকের অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের ০১৭৫৩০৬২৩৯ নম্বরে ফোন করলে ডাক্তারের স্ত্রী জানান ডাক্তার সাহেব স্বরূপকাঠি অফিস করতে গেছেন। জানাগেছে ডাঃ জগলুল ফারুক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত এবং একই সাথে তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে সুযোগে মাঠ পরিদর্শনের কথা বলে খেয়াল খুশিমত অনিয়মিত অফিস করেন। এব্যাপারে বহু রোগী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সহ শীর্ষ সাংবাদিকদের শরনাপন্ন হন আসল ঘটনা প্রকাশের জন্য। অশ্র“সজল ভাষায় বৈশাখের খড় তাপের মধ্যে জনাকির্ণ পরিবেশে সাংবাদিকদের বলেন আপনারা ন্যায়ের পক্ষে কিছু লিখেন।
এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংগঠনের স্বরূপকাঠী শাখার সভাপতি সহ শীর্ষ নেতারা জানান থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক জগলুল ফারুকের নিয়ম বর্হিভূত আচরন রোগী সহ সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য সচিবের সুদৃষ্টি আশা করে এলাকাবাসী।
0 Response to "স্বরূপকাঠির ডাঃ জগলুল ফারুকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ বিভাগীয় স্বাস্থ্য সচিবের নজর দেওয়া অতীব জরুরী"
Post a Comment