পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ স্বরূপকাঠির চাঁদকাঠি মৌজায় সরকারি জমির উপর অবৈধ ইটভাটা নির্মান করেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সৈয়দ শহিদুল আহসান। গত ৩ বছর ধরে ভাটা সংলগ্ন প্রায় ৯ একর সরকারি জমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইট তৈরীর কাজে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করায় লোহার চিমনি দিয়ে বেড় হওয়া কালো ধোয়ায এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।
জানা গেছে চাঁদকাঠি বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে সরকারি চর থেকে ভূমীহীন হিসেবে প্রাপ্ত জমির মালিক আঃ রবের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সামান্য কিছু জমি ক্রয় করেন শহীদুল আহসান। পরে তার ক্রয়কৃত জমির উপর গ্রীন ওয়ার্ল্ড (জি ডব্লিউ)নামে একটি ইটভাটা নির্মান করার পরে পাশে থাকা প্রায় ৯ একর খাস কৃষি জমি নিজের দখলে নেয়ার পায়তারা করতে থাকেন। ১৪০১ বাংলা সন থেকে একসনা লীজ গ্রহীতা কৃষক আফজাল সেখ ও বেলায়েত গাজী গংদের দখলে থাকা ৮ একর ৬১ শতাংশ কৃষি জমি ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে ১৪১৮ সনে শহীদুল আহসানসহ তার পরিবারের নামে লীজ নিয়ে দখলে নেন। তারপর খাস খতিয়ানের ১৭০৬ নং দাগ থেকে ১৭২৯ নং দাগের প্রায় ৯ একর জমি লীজ নেয়ার পরে পুকুর কেটে মাটি তুলে ইট বানানোর কাজে ব্যবহার করে আসছে।
পূর্বে লীজ গ্রহীতাদের পক্ষে জনৈক আঃ রব গত বছরের ১৯ এপ্রিল শিল্পপতির লীজ বাতিল করে কৃষক হিসেবে কৃষি জমি ফেরত পাওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেন। ভূমি মন্ত্রী উপজেলা ভূমি কমিটির সভা ডেকে জরুরীভাবে বিষযটির ফয়সালা করার জন্য নির্দেশ দিলেও কৃষকরা কৃষি জমি ফেরত পায়নি। প্রভাবশালী এই নেতার ইট ভাটায় অবাধে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করে ইট পুড়লেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
0 Response to "স্বরূপকাঠিতে সরকারি জমির উপর অবৈধ ইটভাটা ফসলী জমির মাটি কেটে তৈরী করা হচ্ছে ইট অবাধে পুড়ছে জ্বালানি কাঠ"
Post a Comment