পটুয়াখালী ব্যুরো ঃ পটুয়াখালীতে অনুমতি বিহীন প্রসাশনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে একাধিক আইসক্রীম ফ্যাক্টরী। আইনে আছে আইসক্রীম ফ্যাক্টরী গড়ে তুলতে হলে বিএসটি আই, সিভিল সার্জন কর্তৃক অনুমতি ও পৌরসভার মধ্যে হলে পৌরসভা কর্তৃক ইউনিয়নে হলে ইউনিয়র পরিষোদ কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতা মূলক করতে হবে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরম এলেই দেখাযায় কোনধরনের অনুমতি না নিয়েই ফ্যাক্টরীগুলোতে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রীম। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে হাট বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস ষ্টেশন, অফিস আদালত,স্কুল কলেজ কিংবা দোকানে মহল্লায় মহল্লায় খুচরা আইসক্রীম বিক্রিতাদের আনাগোনাও চোখে পরার মতো।
এ ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন জানান, বর্তমান পরিন্থিতি এমন অবক্ষয় হয়েছে আমরা পর্যবেক্ষনে গেলে রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে আমাদের হুহুঙ্কার দেয়া হচ্ছে। তবুও আমরা আইন সৃংখ্যলা বাহিনী সাথে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রেহন করে যাচ্ছি।
প্রচন্ড গরমে একটু শস্তি পেতে আইসক্রীম দেখলে হয়তো অনেকের খেতে ইচ্ছে হয়। আর স্কুল কলেজের কোমল মতি শিশুদের তো আইসক্রীম দেখলে এক কথায় বলা যায় বায়না ধরে । কিন্তু এসব পিপাসু মানুষ গুলো জানেনা কি উপদান দিয়ে তৈরি করা হয় আইসক্রীম। সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে গেলে এসব আইসক্রীম ফ্যাক্টরীগুলোতে দেখাযায় মেয়াদ উত্তীর্ন প্যাকেট ভর্তি গুরো দুধ,এ্যরারুট, ড্রাম ভর্তি ভাতের মার, কৌটায় ভর্তি সেকারিন, সুস্বাদু করতে বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল ও পুকুর কিংবা খালের পানি দিয়ে প্রতিদিন তৈরি করা হয় হাজার হাজার আইসক্রীম। এছাড়াও শিশুদের আকৃষ্ট করতে এসব আইসক্রীমগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে লাল, নীল, বেগুনী সহ বিভিন্ন ধরনের রং। খোলামেলা ভাবেই রাখা হচ্ছে আইসক্রীম তৈরির ভেজাল উপকরন সামগ্রী, এতে মসা মাছি ধূলা বালি বাশা বাঁধলেও এ নিয়ে যেন কোন কৌতুহল নেই মালিক পক্ষ বা শ্রমিকদের।
মালিক পক্ষ বারতি উপার্জন করতে অবলম্বন করেছে নুতন নুতন কৌশল অনুমোদিত বিভিন্ন কোম্পানীর লেবেল ভর্তি করে বাজার যাত করা হচ্ছে অস্বাস্থকর এই আইসক্রীমগুলো। এগুলো বেশিরভাগ বিক্রি করা হচ্ছে গ্রামের সাধারন মানুষ কাছে চরা দামে এ ভাবেই মালিক পক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এসব ভেজাল ও স্বাস্থর জন্য ক্ষতিকর আইসক্রীম তৈরিতে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে পক্ষিয়া বাজার এলাকায় গড়ে উঠা দুইটি আইসক্রীম ফ্যাক্টরী বর্তমানে তাদের ক্রয় বিক্রয় রয়েছে প্রথম সারিতে।

পটুয়াখালী সদর সেনিটেরি ইনেক্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদ জানান, আমরা নিয়ম অনুযাই মালিকদের ফ্যাক্টরী পরিচালনা করার জন্য বার বার চিঠি পাঠালেও চিঠি গ্রেহন না করে উল্টা আমার অফিস ষ্টাবকে অপমান করে পাঠিয়ে দেয় এবং আমাকে মোব্ইাল ফোনে চাকুরী চুত্য হুমকী দেয়। আপনারা সাংবাদিক ভাইরা আমাদের পাশে থাকবেন আমরা আইন সৃংখ্যলা বাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবন্থা গ্রেহন করবো। এব্যপারে পটুয়াখালী জেলা প্রসাশক অমিতাভ সরকার বলেন, জেলায় কোন ভেজাল বা অনুমতি বিহীন কোন আইসক্রীম ফ্যাক্টরী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রেহন করবো।
0 Response to "পটুয়াখালীতে অনুমতি বিহীন ফ্যাক্টরীতে মেয়াদ উত্তীর্ন সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রীম"
Post a Comment