সুমন দাস (অভী) পটুয়াখালী ঃ ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পাক-হানাদার বাহিনী পটুয়াখালীতে সহস্রাধিক নিরিহ মুক্তিকামী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারের উদ্দ্যেগে পালতি হয়েছে গনহত্যা দিবস। শনিবার সকাল ১০টায় শহরের টাউন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। দিবসটি উপলক্ষে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ পালন করেন মুক্তি যোদ্ধা সেক্টর। এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার ও জেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ মফিজুর রহমান, সদস্য সচিব স.ম. দেলওয়ার হোসেন দিলিপ, কমিউনিষ্ট পার্টির আঃ মোতালেব মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, নির্মল কুমার রক্ষিত, উদীচীর নাসরিন মোজাম্মেল এমা প্রমুখ। বক্তরা মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সরকারের শাসন আমলে পটুয়াখালীর গণকবরগুলো সংরক্ষন করেনি, এনিয়ে স্বজনদের মাঝে চরম ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে। এই স্মৃতি ধরে রাখতে মুক্তিযোদ্ধা সেক্টরের পাশাপাশি সরকারী উদ্দ্যেগের দাবি জানিয়েছে তরুন প্রজন্ম।
উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল একাত্তরের এইদিনে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর আকাশে উরতে থাকে পাকহানাদার বাহিনীর জঙ্গী বিমান। দুই দফায় কয়েকঘন্টা চলে বিমান হামলা চালায় পাকসেনারা। আকাশ থেকে ছুরতে থাকে শেলিং ও বোমা। এরপর পটুয়াখালী শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কালিকাপুর এলাকায় ৪টি সামরিক হেলিকপ্টারে অবস্থান করে পাক সত্রু সেনারা। সেখান থেকে গোলাবর্ষণ করতে করতে তারা প্রবেশ করে শহরের অভ্যন্তরে। উন্মক্ত আক্রোশে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাংঙ্গালীর উপর। এতে শহীদ হয় শত শত নারী,পুরুষও শিশু, লুঠন্ত করা হয় অনেক মা, বোনের ইজ্জত। সত্রু সেনারা শহরের প্রধান বানিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারে ব্যাপক লুটপাত করে শেষে অগ্নিসংযোগে ভস্মিভূত করা হয় ।
0 Response to "পটুয়াখালীতে গণহত্যা দিবস পালিত"
Post a Comment