.

গলাচীপার পানপট্টি ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের ছড়াছরি। প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : কাজী সোহাগ: পটুয়াখালীতে গলাচীপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের ছড়াছরি চলছে। এব্যপারে প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই। গত ০৬/০৩/২০১৫ ইং রোজ শুক্রবার পানপট্টি ইউনিয়নের সতিরাম গ্রামের নিবাসি মো: আলমগীর হোসেন এর কন্যা মোসা: শারমিন আক্তার (শাবনুর) কে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের নিবাসি মো: শামসু ফকিরের ছেলে মো: মিজানুর ফকিরের নিকট বিবাহ দেয়। শারমিন আক্তার (শাবনুর) পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। তার পিতার নাম- মো: আলমগীর হাওলাদার, মাতার নাম- নারগিজ বেগম, রোল নং ৫২।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া তথ্যানুযায়ী তাহার রেজিস্ট্রেশনে জন্ম তারিখ ঃ ১৮/০৮/১৯৯৯ ইং সে অনুযায়ী তাহার বর্তমান বয়স ১৫ বছর। প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন রায়কে এ বাল্যবিবাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য দিয়ে বলেন আমি বাল্য বিবাহের ব্যাপারে কিছু জানি না । তবে এলাকার মেম্বর সিরাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন মেয়ের বাবা গরীব মানুষ বিদেশে থাকা ছেলে পেয়েছে তাই আমারা সবাই মিলে বিবাহ পর্ব সেরেছি। আমরাও সহায়তা করেছি। দয়াকরে নিউজ করিবেন না। এমন কথা বললেন পানপট্টির অত্র এলাকার ০২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: সিরাজুল ইসলাম। বাল্য বিবাহের ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসির ফোনে ফোনদিয়ে জানতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই। তবে এব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহাবুব আলম এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান এই বাল্যবিবাহের ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই, তবে এখন জানার পরে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিব। এ বাল্যবিবাহের কাজী ছিল মো: আসরাফ মাওলানা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এমনভাবেই চলছে পানপট্টি ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের ছড়াছরি।