একাত্তরের ২৭ জুলাই রাত ৮টায় পৃথিবীতে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার তার ৪৩তম জন্মবার্ষিকী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা। সে সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন তিনি।
এর পর দেশে ফেরা হয়নি জয়ের। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জয় তার মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। জয়ের শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। জয় পড়াশোনা করেন ইন্ডিয়ার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিল নাড়ুর পালানি হিল্স এর কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।
এরপর তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শেখার অদম্য ইচ্ছায় তিনি পরবর্তীতে টেক্সাস ইউনির্ভাসিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সবশেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতোকোত্তর শেষ করেন।
২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওর্য়াল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
শুরু হয় তার আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক জীবন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ ভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে তিনি ‘লেটস্ টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম শুরু করেন। এছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে এক চালু করেন ‘ইয়াং বাংলা’।
২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।