nhcrf নিউজ ঢাকাঃ২৪ আগষ্ট : ঢাকার উপকন্ঠে সাভারে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের ঘটনা বেড়ে চলেছে। প্রকাশ্যে এ ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলেও থানায় অভিযোগ না দেয়ার কারনে পুলিশ অনেক কিছুই জানেনা। এদিকে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘরে আটকে আপত্তিকর ছবি তুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারন জনগণকে।
প্রকাশ, ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইসহ ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে প্রায়ই মাইক্রোবাসে করে অপরাধী চক্র ঘুরে বেড়ায়। তারা মহাসড়কের পাশ থেকে বিভিন্ন পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপন দাবি করে। সময় ও চাহিদামত মুক্তিপন না পেলে অনেকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। অপহরণকারীদের চাহিদামত মুক্তিপন দিলে ছেড়ে দেয়া হয় অপহৃতকে।
সম্প্রতি সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে একশ্রেণীর পতিতা ও কথিত সাংবাদিকরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তাসহ ধনী ব্যাক্তিদের টার্গেট করে অপহরণ করে বাসায় আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় করে। এরা মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত বলে প্রমান মিলেছে।
সাভারের মজিদপুরের প্রতিবন্ধি ব্যবসায়ী মুসা জানান, ২৩ আগষ্ট দুপুরের দিকে তিনি এলাকা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পথ ঢাকা আরিচা মহাসড়কে আসেন। একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন যুবক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। মুসা প্রথকে তাদের ডিবি পুলিশ মনে করলেও গাবতলী গিয়ে জানতে পারে তারা অপহরণকারী। গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে একটি স্থানে মুসাকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে সেল ফোনে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুসার পরিবার এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পরেন। অপহরণকারীরা মুসার বোন ও ভাইকে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক ও বিকাশের ৩ টি নম্বর দেয়। ১ ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীদের টাকা না দিলে মুসাকে হত্যা করার হুমকী দেয় তারা।
মুসার আত্মীয় নুরুল্লাহ খান জানান, অপহৃতের ভাই বিষয়টি জানায় ঢাকা জেলা ডিবি ( উত্তর ) এর ওসি শাহীন পারেভেজকে। তিনি অপহৃতের পরিবারকে থানায় জিডি করে তার এক ফর্দ নিয়ে আসতে বলেন এবং সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এদিকে টাকা দেয়ার সময় কমে আসছে দেখে ভাইকে বাঁচাতে মুসার বোন বিলকিস দুইবার ৪ হাজার টাকা পাঠায় অপহরণকারীদের। অবশেষে ঐ টাকা পেয়েই মুসাকে মুক্তি দেয় তারা।
সাভারের ছায়াবীথি এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, বিভিন্ন মহল্লায় ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে অভিজাত মহিলারা ধনী ও বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে মাঠে নামে। তারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে লোকজনকে ফ্লাট বাসায় আটকে রেখে আপত্তিজনক ছবি তোলে। এরপর মোবাইল ফোনে দাবি করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি আঙ্গিনা এলাকায় আনিসুর রহমানের বাসা থেকে নবীনগরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
জানাগেছে, বৃষ্টি নামে এক পতিতাকে দিয়ে দির্ঘদিন প্রেমের অভিনয় করে অবশেষে বাসায় আনা হয় ঐ ব্যবসায়ীকে। এরপর তাকে ফ্লাটে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ দলের নেতা কহিনুর বেগম, কথিত সাংবাদিক মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন তার উলঙ্গ ছবি তোলে এবং ইয়ারাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী তাদের চাহিদামত ৭০ হাজার টাকা বিকাশ করে এনে দিয়ে ফ্লাট থেকে বেরিয়ে আসে। ঘটনাটি এলাকার লোকজনকে জানালে তারা বাসা ঘেরাও করে কহিনুরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরই মধ্যে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ঐ মহিলা।
এধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অব্যাহত হুমকীর মুখে আছেন বলে সিএনআই নিউজের কাছে অভিযোগ করেছেন ছায়াবিথি এলাকার জসিম, ইমন, বাবুসহ অনেকে। তাদের ও তাদের পরিবারকে গুলি করে হত্যা, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোসহ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকী দিচ্ছে অপরাধীচক্র।
ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে দিনের পর দিন অপহরণের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এসব অপরাধের অনেক ঘটনাই অজানা রয়ে যায় পুলিশের। অপহৃত বা তাদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ না করায় পুলিশের ডায়রীতেও এসব অপরাধের কোন হিসেব নেই।
১৮ আগষ্ট সকালে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর থেকে আব্দুর রব (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে রাজবাড়ী জেলার সদর থানার ওড়াকান্দা গ্রামের গোলাপ মোল্ল্যার ছেলে। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করেছে এলাকাবাসী।
সাভারের ভাকুর্তা এলাকার ইটভাটা থেকে অপহরণের শিকার গোলাম মোস্তফা ৮ দিন পর ৯ আগষ্ট লাশ হয়ে ফিরে এল। ইটভাটা সংলগ্ন একটি নদী থেকে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় ৬৫ বছরের ভাটা শ্রমিক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গোলাম মোস্তফার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।
৭ আগষ্ট এক নারী কর্মীর রহস্য জনক মৃত্যুর কারনে সাভারে একটি ট্যানারি শিল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গা ডাকা দেয়। মৃত্যুটি হত্যা বলে নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী।
৬ আগষ্ট রাতে সাভারের হরিণ ধরা এলাকার মেট্রো ট্যানারিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী কর্মীর নাম পিয়ারা খাতুন (৩৪) বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদরপুর গ্রামে । তার লাশ অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ ছিল।
৬ আগষ্ট সাভারে অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে সাভার থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সকালে থানা রোডের পদ্মা প্রিন্টাসের সামনে থেকে বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বৃদ্ধকে অপহরণ করে হত্যার পর ডাম্পিং পয়েন্ট হিসেবে লাশটি ফেলা হয়েছে বলে ঐ সময় ধারনা করা হয়।
২জুলাই সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে সানু হাওলাদার (৩৫) নামের এক বালু ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। সকালে আমিনবাজারের হিজলা গ্রামের নদী থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
খুন হওয়া ওই বালু ব্যবসায়ী ঢাকা মোহাম্মদপুরের সুইচগেট এলাকায় বালু ব্যবসা করতো বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারনা ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বের জের ধরে ওই ব্যবসায়ী অপহরণ করে খুন করা হতে পারে। অন্যদিকে একই দিন সকালে সাভারের নামাবাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত (৪০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩জুন সাভারের আশুলিয়ায় থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে আশুলিয়ার কুড়গাঁও এলাকার পুরাতনপাড়া থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এঘটনায় ওই বাড়ির মালিক রাজ্জাক সহ চারজনকে আটক করা হয়।
একই স্থানে আরও একটি বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে একই যায়গার একটি টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের ভিতরে অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির বস্তাবন্ধি মৃতদেহ পাওয়ায় যায়। পরে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতরা অপহরনের পর হত্যা হয় এবং লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করা হয় বলে পুলিশের ধারনা ছিল।
প্রকাশ, ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইসহ ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে প্রায়ই মাইক্রোবাসে করে অপরাধী চক্র ঘুরে বেড়ায়। তারা মহাসড়কের পাশ থেকে বিভিন্ন পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপন দাবি করে। সময় ও চাহিদামত মুক্তিপন না পেলে অনেকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। অপহরণকারীদের চাহিদামত মুক্তিপন দিলে ছেড়ে দেয়া হয় অপহৃতকে।
সম্প্রতি সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে একশ্রেণীর পতিতা ও কথিত সাংবাদিকরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তাসহ ধনী ব্যাক্তিদের টার্গেট করে অপহরণ করে বাসায় আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় করে। এরা মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত বলে প্রমান মিলেছে।
সাভারের মজিদপুরের প্রতিবন্ধি ব্যবসায়ী মুসা জানান, ২৩ আগষ্ট দুপুরের দিকে তিনি এলাকা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পথ ঢাকা আরিচা মহাসড়কে আসেন। একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন যুবক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। মুসা প্রথকে তাদের ডিবি পুলিশ মনে করলেও গাবতলী গিয়ে জানতে পারে তারা অপহরণকারী। গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে একটি স্থানে মুসাকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে সেল ফোনে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুসার পরিবার এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পরেন। অপহরণকারীরা মুসার বোন ও ভাইকে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক ও বিকাশের ৩ টি নম্বর দেয়। ১ ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীদের টাকা না দিলে মুসাকে হত্যা করার হুমকী দেয় তারা।
মুসার আত্মীয় নুরুল্লাহ খান জানান, অপহৃতের ভাই বিষয়টি জানায় ঢাকা জেলা ডিবি ( উত্তর ) এর ওসি শাহীন পারেভেজকে। তিনি অপহৃতের পরিবারকে থানায় জিডি করে তার এক ফর্দ নিয়ে আসতে বলেন এবং সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এদিকে টাকা দেয়ার সময় কমে আসছে দেখে ভাইকে বাঁচাতে মুসার বোন বিলকিস দুইবার ৪ হাজার টাকা পাঠায় অপহরণকারীদের। অবশেষে ঐ টাকা পেয়েই মুসাকে মুক্তি দেয় তারা।
সাভারের ছায়াবীথি এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, বিভিন্ন মহল্লায় ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে অভিজাত মহিলারা ধনী ও বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে মাঠে নামে। তারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে লোকজনকে ফ্লাট বাসায় আটকে রেখে আপত্তিজনক ছবি তোলে। এরপর মোবাইল ফোনে দাবি করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি আঙ্গিনা এলাকায় আনিসুর রহমানের বাসা থেকে নবীনগরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
জানাগেছে, বৃষ্টি নামে এক পতিতাকে দিয়ে দির্ঘদিন প্রেমের অভিনয় করে অবশেষে বাসায় আনা হয় ঐ ব্যবসায়ীকে। এরপর তাকে ফ্লাটে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ দলের নেতা কহিনুর বেগম, কথিত সাংবাদিক মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন তার উলঙ্গ ছবি তোলে এবং ইয়ারাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী তাদের চাহিদামত ৭০ হাজার টাকা বিকাশ করে এনে দিয়ে ফ্লাট থেকে বেরিয়ে আসে। ঘটনাটি এলাকার লোকজনকে জানালে তারা বাসা ঘেরাও করে কহিনুরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরই মধ্যে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ঐ মহিলা।
এধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অব্যাহত হুমকীর মুখে আছেন বলে সিএনআই নিউজের কাছে অভিযোগ করেছেন ছায়াবিথি এলাকার জসিম, ইমন, বাবুসহ অনেকে। তাদের ও তাদের পরিবারকে গুলি করে হত্যা, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোসহ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকী দিচ্ছে অপরাধীচক্র।
ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে দিনের পর দিন অপহরণের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এসব অপরাধের অনেক ঘটনাই অজানা রয়ে যায় পুলিশের। অপহৃত বা তাদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ না করায় পুলিশের ডায়রীতেও এসব অপরাধের কোন হিসেব নেই।
১৮ আগষ্ট সকালে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর থেকে আব্দুর রব (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে রাজবাড়ী জেলার সদর থানার ওড়াকান্দা গ্রামের গোলাপ মোল্ল্যার ছেলে। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করেছে এলাকাবাসী।
সাভারের ভাকুর্তা এলাকার ইটভাটা থেকে অপহরণের শিকার গোলাম মোস্তফা ৮ দিন পর ৯ আগষ্ট লাশ হয়ে ফিরে এল। ইটভাটা সংলগ্ন একটি নদী থেকে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় ৬৫ বছরের ভাটা শ্রমিক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গোলাম মোস্তফার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।
৭ আগষ্ট এক নারী কর্মীর রহস্য জনক মৃত্যুর কারনে সাভারে একটি ট্যানারি শিল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গা ডাকা দেয়। মৃত্যুটি হত্যা বলে নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী।
৬ আগষ্ট রাতে সাভারের হরিণ ধরা এলাকার মেট্রো ট্যানারিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী কর্মীর নাম পিয়ারা খাতুন (৩৪) বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদরপুর গ্রামে । তার লাশ অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ ছিল।
৬ আগষ্ট সাভারে অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে সাভার থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সকালে থানা রোডের পদ্মা প্রিন্টাসের সামনে থেকে বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বৃদ্ধকে অপহরণ করে হত্যার পর ডাম্পিং পয়েন্ট হিসেবে লাশটি ফেলা হয়েছে বলে ঐ সময় ধারনা করা হয়।
২জুলাই সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে সানু হাওলাদার (৩৫) নামের এক বালু ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। সকালে আমিনবাজারের হিজলা গ্রামের নদী থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
খুন হওয়া ওই বালু ব্যবসায়ী ঢাকা মোহাম্মদপুরের সুইচগেট এলাকায় বালু ব্যবসা করতো বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারনা ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বের জের ধরে ওই ব্যবসায়ী অপহরণ করে খুন করা হতে পারে। অন্যদিকে একই দিন সকালে সাভারের নামাবাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত (৪০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩জুন সাভারের আশুলিয়ায় থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে আশুলিয়ার কুড়গাঁও এলাকার পুরাতনপাড়া থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এঘটনায় ওই বাড়ির মালিক রাজ্জাক সহ চারজনকে আটক করা হয়।
একই স্থানে আরও একটি বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে একই যায়গার একটি টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের ভিতরে অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির বস্তাবন্ধি মৃতদেহ পাওয়ায় যায়। পরে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতরা অপহরনের পর হত্যা হয় এবং লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করা হয় বলে পুলিশের ধারনা ছিল।