.

গোয়ালঘর আনন্দ স্কুল হিসেবে দেখিয়ে রস্ক প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট




গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের একটি (গরু থাকার ঘর) গোয়ালঘর আনন্দ স্কুল হিসেবে দেখিয়ে গত ৪ বছরে রস্ক প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

 গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিড়্গা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ স্কুল স্থাপন হয়। রস্ক প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী ২০১১ সালে স্থানীয় কিছু সংখ্যক এনজিও বিভিন্ন এলাকায় এ স্কুল গড়ে তোলেন। এনজিও পরিচালক পদাধিকার বলে ই এস পি সদস্য হয়ে সংশিস্নষ্ট স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করেন।কিন্তু পরবর্তীতে ইএসপি সদস্য পদ বিলুপ্ত হওয়ায় স্কুলগুলো পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। রস্ক প্রকল্পের সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকার কারণে অনেক আনন্দ স্কুলের অসিত্মত্ব খুঁজে পাওয়া না গেলেও প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সূত্র ধরে ৯ b‡f¤^i যাওয়া হয় উপজেলার হরিরামপুর আনন্দ স্কুলের খোঁজে। ওই গ্রামে গিয়ে দেখা হয়  সুজন মিয়ার সাথে। তাঁকে জিঙ্গাস করা হলে তিনি স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে দেখান একটি উত্তর দুয়ারী গোয়ালঘড় এবং বলেন, এই গোয়ালঘড়টি হচ্ছে আনন্দ স্কুল। এ সময় ওই গোয়ালঘড়ে ৩টি গরম্ন ছিল। আর ঘড়ের সামনে ছিল আনন্দ স্কুলের একটি সাইন বোর্ড।

সাইন বোর্ডে লেখা আছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার  ধুন্দিয়া আনন্দ স্কুল, রস্ক প্রকল্প, কোড- ৪০, আই ডি নং- ৫৩২৩০৩৮, বাসত্মবায়নে- সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থা, গ্রাম হরিরামপুর, ডাক- হরিরামপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা। পরে দেখা হয় এ স্কুলের শিড়্গক আসাদুজ্জামানের সাথে। তিনি জানান, প্রথমে স্কুলটি ধুন্দিয়ায় মৌজায় ছিল, পরে এখানে স্থানানত্মরিত করা হয়। শুরম্ন থেকেই তিনি এই স্কুলে শিড়্গক হিসেবে পাঠদান করে আসছেন। বর্তমানে স্কুলে শিড়্গার্থীর সংখ্যা ২০ জন। তিনি আরও জানান, এ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাঁর মা আছমা বেগম। তিনি বাড়ীতে না থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও ধুন্দিয়া ভোলা মন্ডলের বাড়ী, জঙ্গলমারা , খানসামা পাড়া, মালাগড় পাড়া, বড়দহ বলুয়াপাড়া, নাওভাঙ্গা আনন্দ স্কুলসহ উপজেলার ২০১১ সালে  ১০৮টি আনন্দ স্কুলের একই অবস্থা।

এ প্রসঙ্গে, রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো-অডিনেটর (টিসি) মোবাশ্বের আহম্মেদ জানান, ২/৪ টি স্কুল এ রকম থাকতেই পারে। উপজেলা শিড়্গা অফিসার (ইউইও) তারেক রওনাক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে টিসিকে বলা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হান্নান জানান, আনন্দ স্কুলের বিষয়ে বিসত্মারিত জানানোর জন্য গত ২৭/১০/২০১৫ইং তারিখে উপজেলা শিড়্গা অফিসারকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এখন পর্যনত্ম কিছুই জানাননি।

0 Response to "গোয়ালঘর আনন্দ স্কুল হিসেবে দেখিয়ে রস্ক প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট"

Post a Comment