আর দিনের মত বাড়ির পেছনের মাঠে খেলছিল আসমা(২)। ফুলফুতে বাচ্চা, দুরন্ত তার ভাবনা। কেউ তখনো জানেনা যে পৃথিবীতে তাকে ২ বৎসরের জন্য পাঠানো হয়েছে। খেলধূলার
কোন একটা উপকরন তার জীবন গ্রাশ করার জন্য ওত পেতে আছে।আসমার বাবা আলমগির হোসেন(৩১) পেশায় একজন দিন মজুর। মা লাখি বেগম(২৫) নিজ সংসার পরিচালিকা। পূর্ব জামসিং, সাভার থানার স্থায়ী বাসিন্দা। প্রত্যক্ষ দরর্শী একজন জানান কুপের মুখ নড়বড়ে টিন দ্বারা ডাকা ছিল। হঠাৎ আসমার ভাই চেঁচামেচিতে তিনি দৌড়ে আসেন। তিনি আসমাকে কূপ থেকে উঠানোর অনেক চেষ্টা করার পরও কোন কাজ করতে না পারায় আসমার বাবা তৎক্ষণাৎ হাজির হন এবং আসমার বাবা কোন উপায় না পেয়ে কূপের মাঝে লাফ দেন। এতে আসমার বাবা পায়ে এবং হাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন। কিন্তু ভাগ্যের পরিনাম কি আর খণ্ডানো কি যায়। কূপ থেকে উঠানো হোল আসমার নিথর দেহ।
প্রত্যক্ষ দরর্শীর কথা থেকে জানা যায় যে কূপটা জনাব জালাল নামে এক প্রতিবেশির। জনাব জালাল সাহেবকে এলাকার পক্ষ থেকে কূপের মুখ বন্ধ করতে অনেক বলাবলির পরও তিনি কূপের মুখ স্থায়ীভাবে বন্ধ করেন না। ঘটনার পর জালাল সাহেবের সাক্ষাৎ মেলেনি। এধরনের মৃত্যু যেন কারো না হয় সে জন্য সরকার ও এলাকার প্রতিনিদি হস্তক্ষেপ আমাদের সকলের কাম্য।
0 Response to "জড়ে গেলো ফুটফুটে এক শিশুর প্রান"
Post a Comment