.

"আঞ্চলিক পত্রিকা" বাদাম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত হয়।

মঠবাড়িয়া অফিসঃ দেশের আঞ্চলিক পত্রিকাগুলো বাদাম বেচা পত্রিকা। এগুলো বাদাম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত হয়। এ পত্রিকায় নিউজ ছাপা হলে কিছুই হয় না।" এমনটাই মন্তব্য করলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রহীম খলিল। গত ৯ জানুয়ারী তার অফিস কার্যালয়ে উপজেলার তেতুলতলা বাজারের একটি দোকান ঘর ভাংচুরের ঘটনার সাক্ষস প্রমান গ্রহণ কালে এক পর্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তার সামনেই মঠবাড়িয়া থানার এএসআই ওমর আলী উপস্থিত এক সাংবাদিককে গালাগাল করেন ও বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনাটি মঠবাড়িয়া সাংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স কাবের সদস্য ও দৈনিক সচেতন প্রতিদিন পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেতুলতলা বাজারে ওই সাংবাদিকের নিকটতম আত্মীয় মোঃ আনিচুর রহমান জমাদ্দারের জমির উপর একখানা দোকান ঘর (যাহা জনৈক সোহরাফ হোসেনের নিকট ভাড়া দেওয়া) স্থানীয় কিছু আত্মীয় নামধারী সন্ত্রাসীরা গত ২১/১২/১২ইং তারিখ দিবাগত গভীর রাতে ভেঙ্গে দখল করার পায়তারা চালায়। এ ঘটনায় আনিচুর রহমান ২২/১২/১২ইং তারিখ মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (নং-১০৬৬/১২) করেন। ওই ডায়রীর সূত্র ধরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেন। যাহা ২৩/১২/১২ইং তারিখ দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, দৈনিক আজকের বরিশাল, দৈনিক শাহানামা, দৈনিক পিরোজপুরের কথা, দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়। ওই জিডির আলোকে এএসআই ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয় পকে সালিশ ব্যবস্থার প্রস্তাব দেন। সে আলোকে গত ২৮/১২/১২ ইং তারিখ তেতুলতলা বাজারে নির্ধারিত সালিশদারগণ সালিশি করার জন্য বসলে উক্ত সন্ত্রাসীরা পূনঃরায় ওই দোকান ঘর ভাংচুর করে দোকানের মালামাল রাস্তায় ফেলে দেয়। ওই সময় এএসআই ওমর আলী ও সাংবাদিকদের খবর জানানো হলে সাংবাদিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উক্ত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সাংবাদিকের গাড়ি পোড়ানো ও ভাংচুর করার চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের বাঁধায় সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ঘটনাস্থলে এএসআই ওমর আলী উপস্থিত হয়ে সালিশদারগনদের সাথে কথা বলেন ও অভিযুক্ত সন্ত্রাসী শাহীন জমাদ্দারের সাথে নাস্তা করেন। পরে শাহীন জমাদ্দারকে তার গাড়ির পিছনে বসিয়ে মঠবাড়িয়া বাজরে চলে আসেন।

এদিকে ওই ঘটনা পত্রিকায় ছাপা হলে দৈনিক শাহানামা পত্রিকাটি পিরোজপুর পুলিশ সুপারের দৃষ্টি গোচর হয়। যাহার প্রেেিত পিরোজপুর পুলিশ সুপার মঠবাড়িয়া সহকারী পুলিশ সুপারকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার এসআই হারুনকে সরজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেন। এসআই হারুন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ব্যা প্রমান গ্রহন করেন এবং গত ০৯/০১/১৩ইং তারিখ উভয় পকে মঠবাড়িয়া সহকারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সে আলোকে জিডির বাদী মোঃ আনিচুর রহমান জমাদ্দার ও তার দোকানের ভাড়াটিয়া সোহরাফ হোসেনসহ সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহীম খলিল তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় তথ্য আদান-প্রদান করেন। এসময় এএসআই ওমর আলী এসে সার্কেল অফিসারের সামনে আনিচুর রহমানকে বলে, এই বুড়া শালায় সকল ঝামেলার মুল! শালাকে দুইটা লাথি মারা দরকার। এছাড়া সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনকে ইংগিত করে বলে তুমি সাংবাদিক হয়েছো ? আসলে তুইতো একটা ডাকাত! আমি তোকে দেখে নেব। তোকে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেব। ওমর আলী সাংবাদিকের কাছে জানতে চায় শাহানামা পত্রিকার প্রতিনিধি কে? তিনি জানান, তার নাম মোস্তফা কামাল বুলেট। তখন এএসআই ওমর আলী ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ্যে করে বলে শালার পাছায় একটা বুলেট ঢুকিয়ে দেব। এসময় সকল সাংবাদিকদের এলোপাথারি গালমন্দ করে। এ ঘটনায় সার্কেল মোঃ ইব্রাহীম খলিল এএসআই ওমর আলীকে মৃদু ধমক দিয়ে বলেন, এসমস্ত পত্রিকা বাদাম বিক্রির পত্রিকা। তুমি থানায় চলে যাও। তখন ওমর আলী দম্ভের সাথে বলেন, সব শালায় সন্ত্রাস! ওদের আমি জেলে ঢুকাবো তবেই আমার নাম ওমর আলী। আমি ১৯৯৬ সনে চট্রগ্রামে পত্রিকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছি। কেউ আমার চুল ছিড়তেও পারেনি। এছাড়া ওই সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হওয়ার জের ধরে গত ০৮/০১/১৩ ইং তারিখ সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন হাওলাদার ও মোস্তফা কামালের সাথে থানার ভিতরে এএসআই ওমর আলী খারাপ আচরন করে।

এ ব্যাপারে জানতে এএসআই ওমর আলীর মুঠোফোনে কল করলে তিনি অন্য লোক দ্বারা কলটি রিসিভ করান এবং ওই ব্যক্তি জানান, স্যার ডাক্তারের কাছে ব্যাস্ত আছেন। মঠবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রহীম খলিল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,আমি বলেছি ওই সংবাদটি সঠিক হয়নি। ওই সংবাদটির কারনে আমাকে বিভিন্ন দপ্তরে জবাবদিহিতা করতে হয়েছে।

0 Response to ""আঞ্চলিক পত্রিকা" বাদাম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত হয়।"

Post a Comment