ফুলবাড়ী প্রতিনিধি মোঃ হারুন-উর রশীদঃ গত রোববার রাতে ফুলবাড়ী পৌর এলাকায় কাঁটাবাড়ী গ্রামে পর্যায়ে ক্রমে ৬টি বাড়ীর ধানের খড়ের গাদায় কে বা কাহারা অগুন লেগে দেয় পর্যায় ক্রমে অগুন লাগায় এলাকার লোক জন দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক ছুট ছুটি করতে থাকলে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট রাত ভর চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সম হয়। পরের দিন ফুলবাড়ী পৌর মেয়র জনাব মোঃ মানিক সরকারের ডাকে অত্র এলাকার মানুষদের নিয়ে বিষ্ণ বাবুর খোলিয়ানে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করে উক্ত আলোচনা সভায় ফুলবাড়ী থানার এ,এস,পি ও ফুলবাড়ী থানার ওসি সাহেবের উপস্থিতিতে একটি নৈশ সেচ্ছা সেবক কর্মী কমিটি গঠন করা হয়। সেচ্ছা সেবক কর্মীরা পালাক্রমে এলাকায় পাহার দেওয়া শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে নৈশ্য সেচ্ছা সেবক কর্মীদের কঠর পাহার মধ্যেও রাত ১.৪৫মিনিটে জৈনিক রঞ্জিতের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে এলাকা বাবু রায়ের ছেলে চন্দন রায় পরে তাকে স্থানীয় নুরুল ইসলামের বাড়ীতে রেখে দেওয়া হয়। সকালে থানা থেকে তদন্ত অফিসার হরিদাস মহন্ত এসে সাংবাদিক ও স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সামনে তাকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে সে শিকার করে যে সে রোববার রত্রে আগুন লাগিয়েছিল তার সঙ্গে অনেক লোকজন আছে, পরে নুরু ইসলামের বাড়ী হতে থানায় নিয়ে যায়ও হয়। এদিকে ওই এলাকায় গত রোববার রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাঁটাবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম,হাকিমপুর উপজেলার জাঙ্গাই গ্রামের মোঃ লোকমান হাকিমের ছেলে ডাঃ জাকারিয়া ও কাটাবাড়ী গ্রামের মোঃ আবু বক্কর এর ছেলে শামীম হোসেনকে আটক করা হয়। উলেখ্য গত রোববার রাতে কাটাবাড়ী গ্রামের আমিনুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম,বিষ্ণচন্দ্র রায়,গোলাম মোস্তফা,রফিক উদ্দিন ও তোসাদ্দেকর সরকারের খড়ের গাদায় দুস্কৃতিকারিরা পর্যায়ক্রোমে অগ্নিসংযোগ করে গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় গত সোমবার রাতে তিগ্রস্থ নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। ফুলবাড়ী থানার ওসি(তদন্ত) হরিদাস মহন্ত জানান, আটক চন্দন গ্রামবাসী ও পুলিশের কাছে অগ্নিসংযোগ করার কথা স্বীকার করেছে,তার সাথে জড়িত আরোও যারা আছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় এখন গ্রামবাসী আতঙ্কিত গ্রামবাসী নৈশ্য সেচ্ছাসেবক মোঃ হুমায়ুন কবির জানান যতদিন তার সাঙ্গপাঙ্গ ধরা না পড়ছে ততদিন গ্রামবাসীর পাড়ায় মহল্লায় নৈশ্য পাহারা চলবে ও আরো জোরদার করা হবে এবং দোষি ব্যক্তির যদি উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে পৌর মেয়রকে সাথে নিয়ে মানব বন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
0 Response to "জালাও পোড়াও আতঙ্কে রাত্রী যাপন করছে ফুলবাড়ী বাসী"
Post a Comment