ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে গত ২৮/০১/২০১৩ইং তারিখে ঢাকা এসেছেন। তার দুই দিনের সফরে বহুল আলোচিত বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বার করবে প্রতিবেশী দুই দেশ। ফলে উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফেরত দেওয়া ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দুই ফাঁসির আসামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ভিসা আইন শিথিল করার আরেকটি চুক্তি স্বারের বিষয়েও প্রস্তুতি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি'র খসড়া অনুমোদন হবে। গত বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিয়ে চুক্তির খসড়াটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। চুক্তির খসড়াটি আজ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলেই স্বারে আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না। আজ ও কাল দুই দিনব্যাপী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ চুক্তি স্বার হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ বৈঠকের প্রথম দিন শেষে এ চুক্তি স্বার হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের জানান, চুক্তি স্বারের ফলে ভারত নয়, বাংলাদেশই বেশি লাভবান হবে। পরে ঢাকার একজন শীর্ষ কূটনীতিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বন্দী প্রত্যর্পণের বিষয়টি শুধু ভারতেরই আগ্রহের বিষয় ছিল না। এটি বাংলাদেশেরও একটি চাহিদা ছিল। কারণ বর্তমান সরকার মতায় আসার পর ভারতের হাতে একটি তালিকা তুলে দিয়ে তাদের ফেরত চাওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মজিদ এবং রিসালদার (অব.) মুসলেহ উদ্দিন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত মুরসালিন ও মুস্তাকিম এবং ইমনসহ এক ডজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি হলে তাদের আনার বিষয়টিতে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ভারত ফেরত পাবে অনুপ চেটিয়াসহ ত্রিপুরার জঙ্গি নেতা বিশ্বমোহন দেববর্মণ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনডিএফবি থুলুঙ্গা ওরফে তেনসু নারজারিকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সুশীল কুমার সিন্ধের ঢাকা সফরে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা, সীমান্ত-ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো, প্রশিণ, সমতা বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ সময় দুই দেশ একটি সংশোধিত ভিসা চুক্তি স্বার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটকদের ৬০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভারত ভ্রমণের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হবে। পর্যটকরা এক বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ভিসা পাবেন, যার মাধ্যমে একাধিকবার তারা ভ্রমণ করতে পারবেন। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের েেত্র রোগীর সঙ্গে যেতে পারবেন তিনজন। এর আগে এ সংখ্যা ছিল একজন। সফরকালে সুশীল কুমার সিন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গেও সাাৎ করবেন। কাল সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Response to "ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি"
Post a Comment