
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ। এমনটিই ঘটেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটী ইউনিয়নের দনাইল কোট্টাগড় গ্রামে। বিগত বছরের মাঝামাঝি সময়ে কিশোরগঞ্জের স্থানীয় মেডিসেফ এনিম্যাল হেলথ নামক ঔষধ কোম্পানীর Glocosafe-
c নামক গ্লুকোজ খাওয়ানোর পর বিষক্রিয়ায় পানি তৃষাজনিত রোগে অত্র জেলার বিভিন্ন খামারের হাজার হাজার মুরগীর বাচ্চা মারা যায়। খামারীরা জানান এই ঘটনায় তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমনকি অনেক খামারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। এমনি দুই ক্ষতিগ্রস্ত খামারী করিমগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের হাজী ইকবাল পোল্ট্রি ফার্মের মালিক হাজী ইকবাল ও পাকুন্দিয়া উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের বিসমিলস্নাহ্ পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বেলায়েত হোসেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনে আইনী সহায়তা পাওয়ার লÿ্যে আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের তথ্য সংগ্রহকারী দল সরজমিনে উক্ত মেডিসেফ এ্যানিমেল হেলথ কোম্পানীতে গিয়ে চুখ ছানাবড়া হয়ে যায়।
বিসিক কর্তৃক উক্ত কোম্পানীর ভিটামিন জাতীয় হাঁস-মুরগীর ঔষধতৈরীর অনুমতি থাকলেও সেখানে নির্বিগ্নে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাউথ কোরিয়ার নাম ব্যবহার করে তৈরী হচ্ছে Di-Cox,
Antigard-3, Colipen-20, Doxsin, Ultra-PH এর মত ৯টি এন্টিবায়োটিক ঔষধ যার কোন ঔষধ তৈরীর অনুমতিপত্র কোম্পানী দেখাতে পারেনি। বিসিক কর্তৃক অনুমোদিত ভিটামিন জাতীয় ঔষধ তৈরীর ক্ষেত্রেও কোন ল্যাব বা প্যাথলজি, ডাক্তার বা ক্যামিষ্ট, ল্যাব এসিষ্টেন্ট বা টেকনিশিয়ন নেই এমনকি কোম্পানীর কোন সাইন বোর্ড ও নেই। ঔষধ তৈরী করছে মামুন ও হুমায়ুন নামে দুই ব্যাক্তি যার একজন কৃষি কাজ করে অপরজন ধান ভাঙ্গানো মেশিন চালান। শ্রমিক মামুন জানান এই সকল এন্টিবায়োটিক তৈরী করার পদ্ধতি তিনি জানেন না মালিক নিজেই ঔষধ তৈরী করেন। ক্যামিষ্ট নিয়মিত আসে কিনা জানতে চাইলে মামুন জানান এক দের বছর আগে এসেছিল এখন আর আসে না।
কোম্পানীর মালিক শরীফুল আলম সোহেলের মা জানান আমার ছেলে অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই শাস্ত্মি পাবে। প্রতিবেশী আব্দুর রশীদ, চাচাতো ভাই শাহাব উদ্দিন, আবুল হোসেন ও ব্রাক কর্মকর্তা নজরম্নল ইসলাম জানান মালিক কারখানায় কাউকে ঢুকতে দেন না ভিতরে কি হয় তাও তারা জানেন না। তাৎÿনিক মালিক শরীফুল আলমকে পাওয়া না গেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে। তিনি জানান সারা দেশে এমন আরো ১১৯টি কোম্পানী আছে। তিনি বিভিন্নভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করেন।
0 Response to "অবৈধ ঔষধ কোম্পানীর সন্ধান মিললো কিশোরগঞ্জে!"
Post a Comment