.

স্বরূপকাঠীর জুলুহার গ্রামের গৌরী ও অমূল্য মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি : স্বার্থের জন্য সভ্য সমাজে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটছে অহ রহ। স্বরূপকাঠী উপজেলার জুলুহার গ্রামের গত ১৫ দিন আগে গৌরী ও অমূল্য মাঝির দম্পতিকে গুম করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুম না হত্যা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুরো এলাকায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গত ০৭/০১/২০১৩ ইং তারিখ দাতা হিসাবে জুলুহার মৌজা থেকে ৫ ল টাকার সম্পত্তি বিক্রি করার পর থেকে অদ্যবদি হিন্দু এই দম্পতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে সম্পত্তির গ্রহীতা মৃত শ্যামলাল শীলের পুত্র নারায়ন শীল (৫০) ও তাদের সহযোগী মৃত গনেশ মৃধার ছেলে দীপক মৃধা (৪৫), সত্যেন বড়ালের ছেলে মৃদুল বড়াল (৪০) দিকে। গোপন সূত্রে অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসছে। স্থানীয় প্রভাবশালী এ চক্রের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, ভিপি সম্পত্তি থেকে কৌশলে স্বার্থ হাসিল করে সম্পত্তি আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। সূত্রে আরও জানা যায় এ চক্রটি কৌশলে ভিপি সম্পত্তি ক্রয়ের নামে নিরীহ লোকদের ভয় দেখিয়ে সল্প মূল্যে জমি ক্রয় করে ভোগদখলে নেমেছে। স্বার্থের জন্য হত্যা ও গুম করতেও পিছু পা হয়না এ চক্র। 

অনুসন্ধানে জানা যায় গৌরী রানী ও অমূল্য মাঝি সল্প মূল্যে জমি বিক্রি করার পর থেকেই এলাকা থেকে নিখোজ রয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন স্থানীয় প্রশাসন কে আইনের উর্দ্ধে থেকে নারায়ন শীল ও তাদের সহোযোগীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে। আমাদের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদকেব সাথে আলাপকালে তারা জানান স্বরূপকাঠীর ক্রাইম জোন হিসেবে জুলুহার এলাকার দূর্নাম বহুদিনের।পাশাপাশি দৈহারী, আটঘর কুড়িয়ানা, বলদিয়া ও সমুদয়কাঠীর অবস্থানও শীর্ষে। হত্যা, গুম, মারামারি, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন সহ সবই হচ্ছে এ এলাকায়। স্থানীয় পুলিশ সূত্রেও একই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া হিন্দু এলাকায় স্বার্থের জন্য কিছু অসৎ লোক ভিপি সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। সুশীল সমাজ মনে করেন এখনই যদি হিন্দু দম্পতির রহস্য উম্মোচন না হয় তা হলেপুরো এলাকার হিন্দু পরিবারগুলো চরম নিরাপত্তা হিনতায় দিন যাপন করবে।

0 Response to "স্বরূপকাঠীর জুলুহার গ্রামের গৌরী ও অমূল্য মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।"

Post a Comment