.

কোমল পানীয় চা


জাকির হোসেন খান, বরগুনা থেকে: চা পান করেন না এমন লোক বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। দুই একজন থাকলেও তা ব্যতিক্রম। বাড়িতে বসে যারা চা পান করেন তাদের প্রসঙ্গ বাদ দিলাম। আবার যে চায়ের দোকানগুলো টি প্যাক দিয়ে চা বিক্রি করেন তাদের প্রসঙ্গও বাদ। কিন্তু রেসট্রানট বা রেস্তোরাঁ কিংবা ছোটখাট চা এর দোকানে যারা সকালে কেটলিতে চা ভরে সারাদিন বিক্রি করেন তারা ক্রেতাদেরকে চা খাওয়ান না বিষ খাওয়ান তা কেবল চা বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। তারা কেবল সারাদিনই গুড়া চা পর্যায়ক্রমে কেটলিতে মিশিয়ে থাকেন। দিনের শেষে বা রাতে তারা চা এর গুড়াগুলো ফেলে দিয়ে পুনরায় আবার সকালে পানি গরম করে পর্যায়ক্রমে চা দিয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের নীরব অপরাধ। তাই এটা প্রতিরোধের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে কর্মকর্তা বা কর্মচারী  নিয়োজিত আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি এবং অনুরোধ করছি, এ ধরনের চা খাওয়ার ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো উচিৎ। চা এর ক্ষেত্রে যেটা স্বাস্থ্যসম্মত তা হল চা এর গুড়া কেবল একবারই ব্যবহার করা যাবে। তাও কেবল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য । সর্বোচ্চ বেশী হলে ১ থেকে ৩ মিনিট। অথচ কেটলিতে ১২ ঘন্টা চা ভিজিয়ে রেখে তা ক্রেতাদের পান করানো হয়। এটা আমাদের সমাজে কোন অপরাধ বলে মনে হয় না । আসলে এটাও এক ধরনের অপরাধ। আসুন সবাই মিলে এর পরিবর্তন ঘটাই।

0 Response to "কোমল পানীয় চা"

Post a Comment