.

২৫ তারিখে কিছুই হবে না

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সারা দেশে একটাই আলোচনা ২৫ সেপ্টেম্বর কি হবে। কিছু হবে না। হবার কিছু নাই। ২৫ তারিখে কিছু হবে চিন্তা করা বা প্রত্যাশা করা ঠিক না। তারা যদি এ সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের দাবি না মানে তাহলে আন্দোলন হবে। আমাদের মাঠে নামতে হবে। দাবি মানলে ভালো, না মানলে বাধ্য করা হবে।’

তিনি বলেছেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি গত নির্বাচনের মতো ৩০টা আসন পেলেও কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করে তার সঙ্গে বেহেশতে যেতে চাই না। তাকে ছাড়া দোজখে যেতেও রাজি। শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই হবে, এই ধারণা তাকে বদলাতে হবে। কারণ এই দেশের মালিক জনগণ।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল আয়োজিত ‘জাতীয় সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক অনিবার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি নির্বাচন হয় তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হবে, সেটা রুখবার ক্ষমতা শেখ হাসিনার নাই। নির্বাচন কমিশনকে যেতেই হবে। হাসিনা মার্কা কোনো লোক নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেখে বিএনপি নির্বাচন করবে না।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে বলে দাবি আদায় হয় না সেখানে আন্দোলন করতে হবে। অতীতেও বক্তৃতা দিয়ে দাবি আদায় হয় নি। কথা বলে দেশ স্বাধীন হয় নাই, যুদ্ধ করতে হয়েছে।’

দলের এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘এক এগারোর সময়ে এ রকম আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতাম। কিন্তু এখন এসব বক্তব্য দিয়ে চায়ের কাপেও ঝড় তোলা যাবে না। আমরা রাজপথে নামলে যখন জনগণ দেখবে আমরা সত্যিকার আন্দোলন চাই তখন জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়াবে।’

‘রুলের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কি না’ বিচারপতির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি গয়েশ্বর বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হয়েছে জিয়ার কথায়। যুদ্ধে কার কি অবদান তা বিচারপতিরা যানেন না। তাদের এখতিয়ারে পড়ে না।’

তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে চিত্র হবে এক রকম। আর হাসিনার অধীনে হলে ফলাফল হবে আরেক রকম। আওয়ামী লীগ পাবে ৫০ এর বেশি, বিএনপি পাবে ৩৬ ভাগ ভোট।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার অধীন হলে কেন্দ্রে ব্যালট যেতে হবে, না অফিসার যেতে হবে না। নির্বাচন কমিশন তাদের। প্রথম আলোর জরিপের ফল উল্টা হবে।’

নেতকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা ভোট চায়, আমরাও চাই। এক আসনে চার পাঁচ জন প্রার্থী হওয়ায় যারা আন্দোলন করবে তারা ভাগ হয়ে পড়ছে।’

এসব বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আন্দোলন করতে মাঠে নামেন। নির্বাচন করার প্রস্তুতি লাগে না, নির্বাচন হলে কানা লুলা যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সেই পাস করবে। জনগণ প্রস্তুত ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য।’ নির্বাচনের জন্য অনেক টাকা ব্যয় করলেও নেতাদের আন্দোলনের জন্য ১০ টাকা ব্যয় করতে কষ্ট লাগে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

0 Response to "২৫ তারিখে কিছুই হবে না"

Post a Comment