বরিশাল মহানগরের বাস্তুহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল
করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নগর সংস্থার
কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। ছুটির দিন শুক্রবার থেকে শ্রমিকরা কাজ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের দক্ষিণে খেলার মাঠ। মাঠের দক্ষিণ পাশে কিছু শ্রমিক আধাপাকা ঘর তৈরির কাজ করছেন। জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, জমির মালিক কে সেটা তাঁরা জানেন না। তাঁরা মজুরির বিনিময়ে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের ঘর বানানোর কাজ করছেন। গত শুক্রবার ভোর থেকেই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে শ্রমিকরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে টিনশেডের ঘরটি তৈরি হয়ে যাবে। শ্রমিকরা জানান, গতকাল শনিবার সকালের দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা কাজ বন্ধের জন্য বলেছিলেন। ফলে কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ থাকলেও কাউন্সিলরের নির্দেশে আবার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তবে ওই ঘটনার পর আর কেউ তাঁদের কাজ বন্ধ করতে বলেননি। কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনির বাসিন্দারা জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল নানা অপকৌশল করছে।
স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওই মহলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে কলোনির বাসিন্দারা অভিযোগ করে। তারা জানায়, ওই মহলটি বিদ্যালয়ের মাঠে খড়ের স্তূপ ও বাঁশ-লাকড়ি জমা করে রেখেছে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা খেলতে না পারে। এ কারণে তাদের যাতায়াতেরও সমস্যা হচ্ছে। একই কারণে কলোনির অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টি ছেড়ে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা বেগম জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ আহাম্মেদ ৬৯ শতাংশ জমি বিদ্যালয়টির জন্য দান করেন। জমির কিছু অংশে বিদ্যালয় ভবন করা হয়েছে। অধিকাংশ জমিই শিশুদের খেলার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, তিনি ছুটিতে ছিলেন। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার থেকে মাঠে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা মাসুদ গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। আজ রবিবার তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদাধিকার বলে কাউন্সিলররা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। সেই হিসেবে জয়নাল আবেদীন বাস্তুহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তবে এখন পর্যন্ত তিনি ওই কমিটির সদস্য হিসেবে কোনো সভায় যোগ দেননি। এর আগেই বিদ্যালয়ের জমি দখল করতে শুরু করেছেন।
জমি দখলের কথা অস্বীকার করে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি ১০ শতাংশ। ওই জমির পাশেই তাঁর নিজের জমি। সেখানেই তিনি নিজের ভবন তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেই তিনি ভবনের একটি কক্ষকে শ্রমিক লীগের কার্যালয় বানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের দক্ষিণে খেলার মাঠ। মাঠের দক্ষিণ পাশে কিছু শ্রমিক আধাপাকা ঘর তৈরির কাজ করছেন। জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, জমির মালিক কে সেটা তাঁরা জানেন না। তাঁরা মজুরির বিনিময়ে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের ঘর বানানোর কাজ করছেন। গত শুক্রবার ভোর থেকেই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে শ্রমিকরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে টিনশেডের ঘরটি তৈরি হয়ে যাবে। শ্রমিকরা জানান, গতকাল শনিবার সকালের দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা কাজ বন্ধের জন্য বলেছিলেন। ফলে কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ থাকলেও কাউন্সিলরের নির্দেশে আবার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তবে ওই ঘটনার পর আর কেউ তাঁদের কাজ বন্ধ করতে বলেননি। কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনির বাসিন্দারা জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল নানা অপকৌশল করছে।
স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওই মহলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে কলোনির বাসিন্দারা অভিযোগ করে। তারা জানায়, ওই মহলটি বিদ্যালয়ের মাঠে খড়ের স্তূপ ও বাঁশ-লাকড়ি জমা করে রেখেছে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা খেলতে না পারে। এ কারণে তাদের যাতায়াতেরও সমস্যা হচ্ছে। একই কারণে কলোনির অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টি ছেড়ে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা বেগম জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ আহাম্মেদ ৬৯ শতাংশ জমি বিদ্যালয়টির জন্য দান করেন। জমির কিছু অংশে বিদ্যালয় ভবন করা হয়েছে। অধিকাংশ জমিই শিশুদের খেলার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, তিনি ছুটিতে ছিলেন। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার থেকে মাঠে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা মাসুদ গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। আজ রবিবার তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদাধিকার বলে কাউন্সিলররা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। সেই হিসেবে জয়নাল আবেদীন বাস্তুহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তবে এখন পর্যন্ত তিনি ওই কমিটির সদস্য হিসেবে কোনো সভায় যোগ দেননি। এর আগেই বিদ্যালয়ের জমি দখল করতে শুরু করেছেন।
জমি দখলের কথা অস্বীকার করে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি ১০ শতাংশ। ওই জমির পাশেই তাঁর নিজের জমি। সেখানেই তিনি নিজের ভবন তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেই তিনি ভবনের একটি কক্ষকে শ্রমিক লীগের কার্যালয় বানিয়েছেন।
0 Response to "বিদ্যালয় মাঠে বসতঘর তুলছেন কাউন্সিলর"
Post a Comment