প্রেমিকের আপত্তিকর দৃশ্য ল্যাপটপে ধারণ
করে দেখিয়ে নিজে ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে খুন করা হয়েছে
সিকিউরেক্স কোম্পানীর এ্যাকাউন্টস অফিসার রফিকুজ্জামান ওরফে বাচ্চুকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তার ঘাতক ফাহরিনা ওরফে মিষ্টিকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য উদ্ধার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নিহতের মোবাইল ফোনগুলোর ভিত্তিতে তদন্ত করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
একপর্যায়ে তার অফিসের র্যাঙস টেলের ফোনটি নিয়ে তদন্ত করে দেখা যায়, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বাচ্চু নিহতের দিন থেকে বন্ধ রয়েছে।
এরপর ওই মোবাইল ফোনের সর্বশেষ কললিস্টের
মাধ্যমে ফাহরিনা ওরফে মিষ্টিকে সনাক্ত করা হয়। পরে রোববার রাত ১১টার দিকে
খিলগাঁও মাঠির মসজিদ এলাকার মিষ্টির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার
করা হয়। এর পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত ও নিহত বাচ্চুর লুট করা ল্যাপটপটি
উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা
পুলিশের এডিসি পশ্চিম মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত রফিকুজ্জামান
বাচ্চু লাখ টাকা বেতনের চাকরি করতেন। তার সাথে ফারহানা মিষ্টি প্রেমের
সম্পক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক হয়।
একপর্যায়ে বাচ্চু তার ল্যাপটপে অবৈধ
মেলামেশার দৃশ্য ধারণ করে। এরপর তা দেখিয়ে বাচ্চুর স্ত্রী যখন বাসায় না
থাকতো। তখন মিষ্টিকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন। শুধু তাই নয়, তার
বন্ধুদের সাথেও অবৈধ মেলামেশা করতে বাধ্য করতেন।
একপর্যায়ে মিষ্টি তার প্রতি ক্ষীপ্ত হয়।
গত ৩০ ডিম্বের বাচ্চু তাকে দক্ষিণ কাফরুলের ৪৫৯/১ নম্বর বাড়ি ৫ম তলায় ডেকে
নেয়। এরপর মিষ্টি তার সাথে গভীর সম্পর্ক করে বাচ্চুকে চেয়ারে বসিয়ে হাত-পা
বেঁধে সেক্স করার কথা বলে।
এতে বাচ্চু রাজী হলে তাকে চেয়ারে বসিয়ে
ওরনা দিয়ে দুই হাত ও গামছা দিযে দুই পা বাঁধে। এরপর তার শরীরের লোশন মালিশ
করে। একপর্যায়ে মেলামেশার ভাব দেখিয়ে পূর্ব থেকে জোগাড় করা ধারালো ছোড়া
দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর সেখানে গোসল করে তার ল্যাপটপ ও মোবাইল
সেট নিয়ে চলে আসে।
পরে কাফরুল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে।
সোমবার দুপুরে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে
গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান,
অবৈধ মেলামেশা করার দৃশ্য ধারণ করে তাকে ব্লাকমেইল করার চেষ্টায় ক্ষিপ্ত
হয়েই তাকে তার প্রেমিকা একই তাকে খুন করেছে।
0 Response to "ব্লাকমেইল করায় ক্ষিপ্ত হয়েই বাচ্চুকে খুন করে প্রেমিকা"
Post a Comment