গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি: রসিদা নামে এক নির্যাতিত গৃহবধুর অজান্তে দুই কাজীর কাছে খোলা তালাক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ মতে, ওই গৃহবধুর স্বামী শহিদুল ইসলাম দুই কাজীর যোগসাজসে এই খোলা তালামনামা তৈরী করেন।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামে আব্দুল ওয়ারেছের মেয়ে রসিদার (২৫) সঙ্গে প্রায় ৬ বছর আগে একই উপজেলার সোনাতলা শাখইল গ্রামের সিরাজুলের ছেলে শহিদুলের (৩০) বিয়ে হয়। ঘর সংসারকালে রসিদার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এরপর থেকেই তার উপর যৌতুকের কারণে নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন। কিন্তু সন্তানের মুখের দিক তাকিয়ে রসিদা শত নির্যাতন সহ্য করে আসছিল। এক পর্যায়ে ১৯ জানুয়ারী তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। রসিদা জানায়, এ বিষয়ে ৪ জন কে অভিযুক্ত করে স্থানীয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। আব্দুল ওয়ারেছ জানান, মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শহিদুল গত বছরের ১০ নভেম্বর কাটাবাড়ী ইউনিয়ন বিয়ে ও তালাক রেজিষ্টার রুহুল আমিনের যোগসাজসে রশিদার স্বাক্ষর জাল করে খোলা তালাকনামা তৈরী করেছে। তবে কাজী রুহুল আমিন বলেন, আমি এসব করিনি, পৌর কাজী খালেকে এসব করেছে।
অপরদিকে একই তারিখে অনুরুপভাবে গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিয়ে ও তালাক রেজিষ্টার আকতারুজ্জামানের স্বাক্ষরিত তৈরী করা তালাকের নকল পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে কাজী আকতারুজ্জামান বলেন, এই মূহুর্তে এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমার ব্র্যাঞ্চ সহকারী আছে, তাদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিয়ে ও তালাক রেজিষ্টার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজার রহমান জানান, একই দিনে এক গৃহবধুকে দুই কাজী কিভাবে খোলা তালাক লিপিবদ্ধ করে ইহা তার বোধগম্য নয়। জেলা রেজিষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব বিধি বর্হিভুত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 Response to "গোবিন্দগঞ্জে গৃহবধুর অজান্তে একই দিনে দুটি খোলা তালাক"
Post a Comment