.

টাঙ্গাইলে পুলিশের হাতে প্রেমিকা খুন। হত্যা কারীকে অবিলম্ভে গ্রেফতারে দাবীতে মানবন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ  টাঙ্গাইলের উপ-শহর এলেঙ্গায় মোটর সাইকেল থেকে ফেলে করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সালমাকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানবন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আহাদ তালুকদার, কলেজ শাখা ছাত্রলীদের সাধারন সম্পাদক শামীম আল মামুন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল আলীম, যুগ্ন-আহ্বায়ক রানা তালুকদার, জাতীয় ছাত্র  সমাজের সভাপতি শাহাদত হোসেন সহ অন্যান্যাসহপাঠীবৃন্দ । তারা মেধাবী ছাত্রী সালমার কথিত প্রেমিক সহ জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

 অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা এস.আই উজ্জল কান্তি সরকারের হাতে খুন হয়েছে করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী সালমা ।  ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি শক্তিশালী চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে সৃষ্টি করেছে ব্যাপক তোলপাড়।

উল্লেখ্য, থাকে যে গত ৮ মার্চ শনিবার দুপুর দেড় টার দিকে এলেঙ্গায়  পড়া মোটরসাইকেল চালক মেয়ে আরোহীকে টাঙ্গাইলগামী একটি চলন্ত ট্রাকের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ট্রাকের চাপায় মেয়েটি মারা যায়। এ সময় মেয়েটির ভ্যানিটি ব্যাগ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে মোটর সাইকেল চালক দ্রুত টাঙ্গাইলের দিকে চলে যায়। স্থানিয় লোকজন তাকে টাঙ্গাইল  জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্মরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। গত ৯ মার্চ সকালে এসআই উজ্জল কান্তি সরকারের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে পুলিল ফোন করে জানতে পারে সালামর বাড়ি কালিহাতীর মমিন নগর গ্রামে। তার বাবা আবু সাইদ এসে ছিন্নভিন্ন জামাকপড় দেখে লাশ সনাক্ত করেন। মোটর সাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার বিষয়টি ঘটনাটি টাঙ্গাইল, উপ-শহর এলেঙ্গা ও কালিহাতী উপজেলায় প্রচারহয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশ বিভাগেও ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মোছা. সালমার সাথে টাঙ্গাইল পুলিশ বিভাগের কর্মরত এস. আই. উজ্জল কান্তি সরকারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে এস. আই  উজ্জল কান্তি সরকার ওই ছাত্রীর সাথে দৈহিক  সম্পর্ক গড়ে  তোলেন। পুলিশের লোক হওয়ার সুবাদে ওই ছাত্রীকে নিয়ে সে যমুনা রির্সোট লি. এলেঙ্গা রিসোট লি. সহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেরে রাত্রী যাপন করেছেন। এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার পুলিশের সদস্যরা প্রায় সকলেই অবগত। এক পর্যায়ে সালমা গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ধনবাড়ি থানায় কর্মরত এস. আই উচ্চল দিশেহারা হয়ে পড়ে। এরই জের ধরে গত শনিবার ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধুসেতু- ঢাকা মহাসড়কের এলেঙ্গায় মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে সালমাকে ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়। ট্রাকের চাপায় সালমার শরীর জড় মাংসপিন্ডে পরিনত হয়। প্রাথমিকভাবে পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম ময়না তদন্ত করে জানান সালমার মৃত্যুর কারণ সাধারনভাবে গাড়ী চাপা। তার গর্ভবতী হওয়ার বা দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের সকল আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। সে সম্পর্কে কোন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা । এব্যাপরে সদ্য ধনবাড়ি থানায় যোগদান করা এস. আই. উজ্জল  কান্তি সরকার জানান, তিনি গোপালপুর থানায়ই রয়েছেন। তিনি সালমার  বাবার মোবাইল নম্বরটি কালিহাতী থানার কনস্টেবাল ওয়লিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্বসেতু থানার এস আই আনিছুর রহমাকে দিয়েছেন। তিনি সালাম বা তার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন না। এব্যাপরে গোপালপুর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ জানান, উজ্জল কান্তি সরকার র‌্যাবে বদলী হয়েছেন। গোপালপুর থানায় তা কোন ডিউটি নেই। ৮মার্চ তিনি চলে গেছেন। তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল পুলিশ বিভাগের এস আই উজ্জল কান্তি সরকার জেলার কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব, ভূঞাপুর সর্বশেষ গোপালপুর থানায় কর্মরতকালে মাদকবহন ও সেবন, মাদক দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি, নারী কেলেল্কারী, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, মুক্তিযোদ্ধা সহ সাধারণ মানুষকে অহেতুক হয়রানি এবং না আজুহাতে অর্থ আদয়ের আভিযোগে প্রায় প্রতিটি কর্মরত থানা থেকে শাস্তিমুলক বদলী করা হয়।

0 Response to "টাঙ্গাইলে পুলিশের হাতে প্রেমিকা খুন। হত্যা কারীকে অবিলম্ভে গ্রেফতারে দাবীতে মানবন্ধন "

Post a Comment