সুমন দাস (অভী) পটুয়াখালী ব্যুরোঃ দক্ষিনের নদী মাতৃক জেলা পটুয়াখালী এই জেলার নদীগুলোত প্রতি জোয়ারে সাগর থেকে গলদা বাগদা চিংরি পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা উঠে আসছে। এসুযোগে উপকূলীয় এলাকার প্রভাবশালী দাদনদার চক্র গরীব অসহয় খেটে খাওয়া মানুষ গুলোকে সামান্য কিছু দাদন ও মশারী জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের মাধ্যমে রেনু আহরন করে আসছে । শুক্ষ ফাঁদের মশরী জাল দিয়ে রেনু আহরন করতে গিয়ে নির্বিচারে ধ্বংষ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ রেনু । উল্লেখ্য মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষন আইন ১৯৫০ এর ৩ ধারায় প্রাকৃতিক উৎস থেকে বাগদা ও গলদা রেনু আহরন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের এ আইনকে উপেক্ষা করে
আহরনকারী জেলেরা চিংরি রেনু আলেদা পাত্রে রেখে অনন্য প্রজাতির রেনুগুলো মাটিতে ফেলে দেয়। এতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ রেনু মার পরছে। রেনু গরীব অসহয় লোকদের কারেন্ট জাল ও সামান্য কিছু অর্থ দাদন দিয়ে রেনু আহরন করায়, এবং যে যা ধরতে পারে তাকে সেই পরিমান মত অর্থ দিয়ে থাকে মহজনরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিপুর এলাকার এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, উপকূলীয় এলাকা থেকে রেনু ক্রয় করে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এলাকায় বেশি দামে বিক্রয় করে । যা লাভের সিংহ ভাগ রয়ে যায় দাদন দার মহাজনদের পকেটে। আর রেনু আহরনকারী পায় সামান্য কিছু অর্থ।
উপকূলীয় এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, স্থাণীয় প্রভাবশালী রেনু ব্যবসায়ীরা চলতি মৌসুমে রেনু আহরনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এসব রেনু আহরন করছে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, বদনাতলী, কোরালিয়া, পানপট্টি, চরমোন্তাজ, রাঙ্গাবালী, বড়বাইসদা, কলাপাড়া উপজেলার ধূলস¦র, বাবলাতলা, চরচাপলি, মহিপুর, সোনালতা, বালিয়াতলী, লালুয়া, ধানখালী, বরগুনার আমতলী তালতলী, বগীবাজার, আশারচর, ফাতরার চরসহ বেশ কয়েক টি এলাকায়।
এ সব এলাকাগুলোতে নেই কোন মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃংখ্যলা বাহিনীর তদারকি। অভিযোগ রয়েছে মৎস্য বিভাগ ও রেনু ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহয়তায় নাকের ডগা দিয়ে ফিসিং বোর্ড, ট্রলার, ট্রাক, মিনি ট্রাক, অথবা যাত্রীবাহী পরিবহন যোগে বড় বড় চালান পাচার হচ্ছে। গত বছর পাচারের সময় কয়েকটি চালান আইন শৃংখ্যলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও চলতি মৌসুমে নেই বড় কোন সাফাল্য। মৎস্য বিজ্ঞানীদের উপকূলীয় এল মনে করেন মৎস্য সম্পদ বাগদা গলদা রক্ষার্থে রেনু মৌসুমে যদি পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অফিস যৌথভাবে চেক পোস্ট বসিয়ে সড়ক ও নৌ পথে তল্লাসী করে তাহলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
0 Response to "পটুয়াখালীতে বাগদা ও গলদা আহরনের সময় মেরে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু।"
Post a Comment